বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে ডাক্তারদের বন্ধ চেম্বারের দুয়ার খুলছেই না

July 8, 2020 | 5:25 pm

রমেন দাশগুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ব্যাপক প্রতিবাদ ও প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের কারণে বেসরকারি হাসপাতালের দুয়ার খুললেও বন্ধ হয়ে আছে চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের চেম্বার। গত প্রায় চারমাস ধরে বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ চিকিৎসক প্রায় সবাই তাদের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা বন্ধ রেখেছেন। এর ফলে যারা করোনায় আক্রান্ত নন কিন্তু অন্য জটিল রোগে ভুগছেন কিংবা যারা নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন, তারা সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী সারাবাংলাকে বলেন, ‘তিনমাস ধরে সব চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ ছিল। অনেকেই ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা দেওয়া একেবারে বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু এখন অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তাররা চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে যাদের বয়স বেশি, তারা আসছেন না। এজন্য একটা সংকট তৈরি হয়েছে। আশা করছি, অচিরেই এই সংকটও কেটে যাবে।’

নিয়মিত চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা না পাওয়ার হাহাকার এখন চট্টগ্রামের ঘরে ঘরে। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই সাধারণ মানুষের।

নগরীর মুরাদপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহবধূ গাইনোলজিক্যাল বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একবছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক রোকেয়া পারভীনের। কিন্তু গত মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে তিনি আর চেম্বারে আসছেন না। ওই ‍গৃহবধূ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডাক্তারের মোবাইল নম্বর বন্ধ। কয়েকবার চেম্বারে গিয়েও উনাকে পাইনি। গাইনোলজির অন্য ডাক্তারদের পরামর্শ চেয়েছি, কিন্তু সিনিয়র ডাক্তার রোকেয়া পারভিনের রোগী শুনে তারা চিকিৎসা দিতে আগ্রহী নন। এখন যখন শরীরে জটিলতা অনুভব করি, আল্লাহ আল্লাহ করা ছাড়া আর গতি নেই।’

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল আলম জানান, সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার মীরসরাই এবং বারইয়ারহাট বাজারে চট্টগ্রাম শহর থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গিয়ে চেম্বারে বসতেন। মার্চের শুরু থেকে তারা কেউই আর চেম্বারে যাচ্ছেন না।

‘আমি নিজেও দীর্ঘদিন ধরে গলার রোগে ভুগছি। মীরসরাই বাজারে একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলাম। গত মার্চ থেকে উনাকে আর পাচ্ছি না। মোবাইলও বন্ধ। আমার মতো মীরসরাইয়ে হাজার হাজার রোগী আছেন, যারা বিপদে পড়েছেন। পল্লী চিকিৎসকদের কাছ থেকে অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন’ বলেন নাজমুল।

বিজ্ঞাপন

নগরীর জামালখান এলাকার বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব পুতুল দাশ নিউরোলজির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খোকন কান্তি দাশের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। গত মার্চ থেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তিনি আর ওই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেননি। তিনি সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসক দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

চিকিৎসাবঞ্চিত বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছেন প্রসূতি এবং নবজাতকেরা। নিয়মিত চেকআপ করাতে না পেরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী গত মার্চ থেকে চেম্বারে বসছেন না। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রাইভেট প্র্যকটিস শুধু আমাদের দেশে নয়, আশপাশের বিভিন্ন দেশেও এখন বন্ধ আছে। কারণ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা যতটা সম্ভব, চেম্বারে সম্ভব নয়। এখানে একজন রোগীকে আমাকে কাছে গিয়ে পরীক্ষা করতে হবে, নানা বিষয় জানতে হবে। তারপর চিকিৎসা দিতে হবে। সেটা কোভিড পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়। এখন রাষ্ট্র যদি ব্যাপক পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড ও নন কোভিড রোগী আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দিত এবং কোভিড রোগীদের আলাদাভাবে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিত, তাহলে এত সংকট থাকতো না। তখন নন কোভিড রোগীরা সহজে চিকিৎসা পেত।’

ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ থাকায় রোগীদের নির্ভর করতে হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে বহির্বিভাগের চিকিৎসার ওপর। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। চট্টগ্রামের ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে নির্ধারিত। সেখানে গত চারমাস ধরে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধ আছে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে ওয়ার্ডে ভর্তির দ্বিগুণ প্রায় ছয় হাজার রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হত। কিন্তু করোনার সংক্রমণ শুরুর পর বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা কমছে। এখন প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেখানেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের নিরাপদ দূরত্বে রেখে। করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের আউটডোরে সব বিভাগে চিকিৎসা স্বাভাবিক আছে। তবে রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা কম।’

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, চট্টগ্রামে বিএমএ’র অন্তর্ভুক্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার ডাক্তার আছেন। এর বাইরে আরও প্রায় তিন হাজার ডাক্তার আছেন। এর মধ্যে ৯০ ভাগই চট্টগ্রাম শহরে, জেলার মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় অথবা কাছাকাছি জেলা শহরে গিয়ে চেম্বারে চিকিৎসা দেন। এদের মধ্যে প্রায় ১২০০ চিকিৎসক আছেন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের।

‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যারা আছেন তাদের সবার বয়স অন্তত ষাটের ওপরে। ৭৫ ভাগ চিকিৎসকের বয়স পঞ্চাশের ওপরে। ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা দেওয়াটা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সরকারই বলছে, পঞ্চাশের ওপরে যাদের বয়স তাদের চিকিৎসা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে। আর মহামারিতে বিশ্বের সব দেশেই চিকিৎসকেরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখেন। চট্টগ্রামে একেকটি ফ্লোরে ৮-১০ জন ডাক্তার বসেন, রোগী ও তাদের স্বজন মিলে থাকেন কমপক্ষে ২০০ জন। এর মধ্যে যদি পাঁচজনও কোভিড রোগী থাকেন, তাদের মাধ্যমে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া রোগী যদি কোভিড আক্রান্ত হন, তাকে চেকআপ করতে গিয়ে ডাক্তারেরও সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে আমি আশা করব, চিকিৎসকেরা যাদের বয়স অন্তঃত পঞ্চাশের নিচে, তারা আস্তে আস্তে চেম্বারে ফিরবেন। আমার মনে হচ্ছে, ঈদুল আজহার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে’ বলেন ফয়সল ইকবাল।

চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। খ্যাতিমান চিকিৎসক সামিরুল ইসলামসহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন ডাক্তার।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডাক্তারদের মধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছেন বা মারা গেছেন তারা কিন্তু রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছে। এরপর তাদের মধ্যে একটা ভয় এসে গেছে যে, রোগীদের কাছাকাছি গেলেই মনে হয় করোনায় আক্রান্ত হবেন। বাস্তবে বিষয়টা পুরোপুরি সে রকম নয়। তিন-চারমাস ধরে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছেন, কিন্তু এখনও সুস্থ-স্বাভাবিক আছেন, এমন হাজার হাজার ডাক্তার-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া আর চেম্বারে দেওয়া দুটো ভিন্ন বিষয়। হাসপাতালে একবার কিংবা দুইবার রাউন্ড দিয়ে আসলে হয়। চেম্বারে তো অনেকক্ষণ থাকতে হয়। বয়স্ক যারা তাদের মধ্যে আতঙ্ক আছে। তবে চট্টগ্রামের কোভিড পরিস্থিতির দিনদিন উন্নতি হচ্ছে। ঈদুল আজহা পর্যন্ত আমাদের একটা ভয় আছে। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হলে আশা করি, সব ডাক্তারই চেম্বারে ফিরবেন।’

করোনা মোকাবেলায় গঠিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী আ ম ম মিনহাজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সব চিকিৎসক যে চেম্বার ছেড়ে গেছেন এমন নয়। অনেক চিকিৎসকই চেম্বারে সীমিত আকারে চিকিৎসা দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তো তাদের চেম্বারে ফিরিয়ে আনা যাবে না। এ বিষয়ে তো কোনো আইন নেই। ব্যক্তিগত চেম্বারে বসবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তাদের আছে। তবে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার সংস্কৃতি হচ্ছে প্রাইভেট প্র্যাকটিস নির্ভর। মানবিক দিক বিবেচনা করে ডাক্তারদের সীমিতভাবে হলেও প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ফিরে আসা উচিৎ বলে আমরা মনে করি।’

করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে অঘোষিতভাবে চট্টগ্রামের সকল বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রশাসন থেকে বারবার চাপ দিয়েও হাসপাতালগুলো চালু করতে না পেরে গত ৩১ মে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে কভিড-১৯ ও নন কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ও তদারকির জন্য সাত সদস্যের একটি সার্ভিলেন্স কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার। কমিটিতে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে (উন্নয়ন) আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নোটিশ ইস্যু করে।

বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেব চালু করতে আন্দোলনে নামে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, করোনা প্রতিরোধে নাগরিক সমাজ, সিপিবি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। আন্দোলনের মুখে বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোগী ভর্তি শুরু করা হয়েছে। একইভাবে চিকিৎসকদের চেম্বারে ফেরাতেও প্রশাসনের উদ্যোগ এবং আন্দোলনের তাগাদা আসছে বিভিন্ন মহল থেকে।

করোনা প্রতিরোধে নাগরিক সমাজের সংগঠক নুরুল আজিম রণি সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস নির্ভর চিকিৎসা সংস্কৃতি ডাক্তাররাই তৈরি করেছেন। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের আমরা দেখেছি, নিজের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে রোগীকে প্রাইভেট চেম্বারে যাবার পরামর্শ দিতে। তাহলে এখন তারা চেম্বার বন্ধ করে রোগীদের চিকিৎসা বঞ্চিত করছেন কেন ? এই অরাজকতা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা যেভাবে আন্দোলন করে হাসপাতাল-ক্লিনিক খুলতে বাধ্য করেছি, একইভাবে ডাক্তারদেরও চেম্বার খুলতে বাধ্য করব। বিনা চিকিৎসায় সাধারণ মানুষ কষ্ট পাবে, মারা যাবে এটা সহ্য করা যায় না। ডাক্তারদের মনে রাখতে হবে, চেম্বার আর মুদির দোকান এক নয়। চিকিৎসা কোনো ব্যবসা নয় যে, যখন ইচ্ছা চেম্বার খুলবো, যখন ইচ্ছা বন্ধ করে দেব।’

এদিকে প্রায় চারমাস পর সচল হলেও চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে অস্বাভাবিক বেশি টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কোভিড-নন কোভিড রোগীদের সেখানকার ডাক্তাররা চিকিৎসা দিচ্ছেন, শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি হলেই। সেক্ষেত্রে রোগীদের বাড়তি খরচের বোঝা বহন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে গত ৬ জুলাই রাতে ৬৭ বছর বয়সী নুরুন নাহার বেগমকে ভর্তি করা হয় নগরীর পাঁচলাইশে পার্কভিউ হাসপাতালে। বুধবার (৮ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে ৭০ হাজার টাকা পরিশোধের একটি বিল দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে সাংবাদিক লতিফা আনসারী রুনা। মাত্র দুইদিনে ৭০ হাজার টাকা বিল দেখে তারা হতভম্ভ হয়ে পড়েছেন।

লতিফা আনসারী রুনা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার মাকে একটা ইনজেকশন, প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ এবং আনুষাঙ্গিক কিছু টেস্ট করানো হয়েছে। অক্সিজেন সাপোর্ট লাগেনি। এর মধ্যেই ৭০ হাজার টাকা ক্যাশ কাউন্টারে জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি কোন কোন খাতে এত টাকা বিল এসেছে জানতে চাইলে তারা সেটা জানাতে চাইছে না। শুধু বলছে, বিল না দিয়ে অনেকে পালিয়ে যায়। সেজন্য চিকিৎসা পেতে হলে আগে বিল পরিশোধ করতে হবে। এটা একটা মানসিক চাপ। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা রোগীদের জিম্মি করছে।’

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন