বিজ্ঞাপন

সরকারই অনিয়ম খুঁজে বের করেছে: রিজেন্ট নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী

July 8, 2020 | 5:52 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের পরীক্ষা ও আক্রান্তদের চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বন্ধ ঘোষণা করা রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম সরকারই খুঁজে বের করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য আগে থেকে এ অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য জানাতে পারেনি বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় সংসদে চলমান অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন সংসদ নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় গত সোমবার (৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়ে হাসপাতালে ফেলে রাখা, পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, অনুমতি না থাকলেও বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ, সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা চললেও রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বিল আদায়ের মতো অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে আদেশ জারি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিন্তু সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এই অনিয়মগুলো আমরাই খুঁজে বের করেছি এবং অপরাধীদের এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা খুশি হতাম, যদি এই তথ্যগুলো স্থানীয় সংসদ সদস্য আমাদের আগেই জানাতে পারতেন। তিনি জানাননি, অন্য কেউও জানায়নি আমাদের। সরকারের পক্ষ থেকেই আমরা এদের খুঁজে বের করেছি। র‌্যাব সেখানে গিয়েছে, তারপর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।

এদিকে, র‌্যাবের অভিযানের পর স্বাস্থ্য অধিদফতর হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করতে আদেশ দিলে রিজেন্ট হাসপাতাল মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে র‌্যাবের অভিযানে হাসপাতালের আট জনকে আটক করা হয়। পরে মঙ্গলবার রাতে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও অভিযানে আটক আট জনসহ মোট ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়। চেয়ারম্যান সাহেসদসহ বাকিদের ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সারাবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৪ সালে, মিরপুর শাখার ২০১৭ সালে। তা সত্ত্বেও হাসপাতলটি স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে দেশে কোভিড সংক্রমণ শনাক্ত হলে মার্চে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিতে শুরু করে হাসপাতালটি। কিন্তু লাইসেন্স না থাকা হাসপাতালটি সেখানে পদে পদে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন