বিজ্ঞাপন

নিয়মিত কোর্ট চালুসহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ৭ সুপারিশ

July 8, 2020 | 7:49 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে নিয়মিত আদালত চালুর দাবি করে করোনাকালীন সময়ের জন্য সাত দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ জুলাই) সমিতির অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ তুলে ধরেন সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এসময় সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, গত ১২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত ছুটি ও ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালতসহ সারাদেশের আদালতে নিয়মিত বিচার কাজ বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের ৩৫ জন আইনজীবী মৃত্যুবরণ করেছেন। শতাধিক আইনজীবী অসুস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে দীর্ঘ দিন নিয়মিত কোর্ট বন্ধ থাকায় সাধারণ আইনজীবীরা কোর্ট খোলার দাবি করছেন। এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মতামতের ভিত্তিতে নিয়মিত আদালত চালুর ব্যাপারে সাত দফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সাত সুপারিশ

বিজ্ঞাপন

এক. ভার্চুয়াল আদালত নিয়মিত আদালতের বিকল্প হতে পারে না। সুতরাং স্বাস্থ্য সুরক্ষ নিশ্চিত করে অবিলম্বে নিয়মিত আদালত চালুর পক্ষে কার্যনির্বাহী কমিটি অভিমত প্রকাশ করেছে;

দুই. যেহেতু করোনার ভয়াবহতার কারণে আদালতের মূল্যবান সময় অপ্রত্যাশিতভাবে নষ্ট হয়েছে, এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টে বাৎসরিক ছুটি এবং সব আদালতের ডিসেম্বরের ছুটি বাতিল করতে হবে এবং পরবর্তী ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে আনতে হবে;

তিন. নিয়মিত আদালত চালুর আগে বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী জনগণ ও আদালতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি;

বিজ্ঞাপন

চার. করোনাকালে আদালত প্রাঙ্গণে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সব পক্ষকে এই সুরক্ষা নীতিমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে;

পাঁচ. সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যদের নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সমিতির টয়লেট, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হয়েছে;

ছয়. যতদিন পর্যন্ত নিয়মিত আদালত ঢালু করা সম্ভব হচ্ছে না, ততদিন পর্যন্ত সব আইনজীবী যেন পেশা পরিচালনার সুযোগ পান, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ভার্চুয়াল কোর্টের সংখ্যা, পরিধি ও বিচারিক সময়সীমা বাড়াতে হবে। বর্তমানে চলমান ভার্চুয়াল আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনজীবীরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথি ও আদেশের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়ায় উচ্চ আদালতে মামলা দায়েরে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এগুলো দূর করতে অবিলম্ব কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে; এবং

সাত. বিচারপ্রার্থী মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য ভার্চুয়াল আদালতেও আগাম জামিন চালু করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এসব বিষয়াবলী সুবিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশের আদালতে নিয়মিতভাবে চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, সহসভাপতি মো. মনিরুজ্জামান, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ রাগীব রউফ চৌধুরী, সহসম্পাদক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ফারুক, মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মার-ই-য়াম খন্দকার, হুমায়ুন কবির, আমীরুল ইসলাম (খোকন), মোহাদ্দেস-উল-ইসলাম (টুটুল), মোহাম্মদ মশিউর রহমান, মোহাম্মদ মহসিন কবির ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন (রতন) উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন