বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য ষড়যন্ত্রমূলক: ওবায়দুল কাদের

July 11, 2020 | 12:36 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ জুলাই) দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেশবাসীকে গভীরভাবে হতাশ করেছে। সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক নিয়ম-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতা এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না।’

এর আগে, গতকাল এক অনলাইন আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন ‘নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আনা। ওয়ান-ইলেভেন থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’

বিবৃতিতে স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিবের এই আপত্তিকর বক্তব্যের ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।

বিজ্ঞাপন

‘ইসি বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে। সেনাবাহিনীকে অকার্যকর করেছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথাগুলো বলে কী বোঝাতে চাইছেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়’, বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এসময় তিনি সেনাবাহিনীর মতো রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকা একটি জাতীয় বাহিনীকে নিয়ে এই ধরনের আপত্তিকর, দূরভিসন্ধিমূলক, দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য থেকে সকলে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে খালেদা জিয়াকে জেল খাটতে হয়েছে, তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হচ্ছে’ বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া ফৌজদারি আইনের অধীন দেশের প্রচলিত আদালতের বিচারে প্রথমে অভিযুক্ত ও পরে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। এর সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই বরং আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ মানবিক কারণে সরকারের সর্বোচ্চ আইনি ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাকে মুক্তি দিয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাদের আজীবন কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, “তারেক জিয়া ওয়ান-ইলেভেন সরকারের কাছে ‘আর কখনও রাজনীতি করবো না’, এ মর্মে মুচলেকা দিয়ে ও তাদের কাছে মাফ চেয়ে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে দেশ ত্যাগ করেছিল। তার এই তথাকথিত নির্বাসনে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। তবে তারেক জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, যার কয়েদি হিসেবে জেলে থাকার কথা। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

উপনির্বাচন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই নির্বাচন করছে। সকল রাজনৈতিক দলকে বুঝতে হবে যে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পৃথিবীর অনেক দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’ এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরে জাতীয় নির্বাচন; ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্সে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন