বিজ্ঞাপন

বেড়েছে মসলার আমদানি, বাজারে কমেছে দাম

July 12, 2020 | 6:19 pm

লোকাল করেসপন্ডেন্ট

হিলি: আর কিছুদিন পর মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ। আর প্রতিবছর এই ঈদকে সামনে রেখে দেশের বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের যেমন চাহিদা বাড়ে, তেমনি দামও বাড়ে। সাধারণত দেশের চাহিদা মেটাতে জাহাজ এবং বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মসলা আমদানি করা হতো। তবে এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বেশ কিছু দেশ থেকে মসলা আমদানি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে মাঝখানে মসলার দাম ছিলো ঊর্ধ্বমুখী। তবে গত ৮ জুন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ার পর থেকেই বন্দর দিয়ে মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় আড়ৎ ও খুচরা বাজারে কমেছে এসব মসলা পণ্যের দাম। ঈদে দেশের বাজারে মসলার দাম স্বাভাবিক রাখতে বেশি বেশি আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আমদানি বাড়ায় স্থানীয় আড়ৎ ও খুচরা বাজারে কমেছে আদা, রসুন, জিরা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের মসলার দাম। এদিকে বাজারে কম দামে কিনতে পারায় খুশি স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, লকডাউনের আগে হিলির আড়ৎ ও খুচরা বাজারে প্রতি প্যাকেট জিরা বিক্রি হয়েছে ৪৬০ টাকা দরে, এখন ১৮০ টাকা কমে প্রতি প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। সাদা এলাচ বিক্রি হয়েছে ৩২০০ টাকা কেজি দরে এখন তা ৬০০ টাকা কেজি প্রতি কমে বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ টাকা দরে। ৩৮০ টাকার দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায় এবং ৮৫০ টাকার লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে।


হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা সিজার ও লেবু জানান, ঈদের বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। আমদানি বেশি থাকায় এবার সবধরনের মসলার দাম কম। দাম কম থাকায় ক্রেতারা স্বস্তিতে মসলা কিনতে পারছেন। আশা করি এবার মসলার দাম বাড়বে না। দাম কমার কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা মসলা কিনতে আসছেন এবং বিক্রি ভালো হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, এবার করোনাভাইরাসের কারণে বেশকিছু দেশ থেকে মসলা আমদানি বন্ধ আছে। এসময় যাতে দেশের বাজারে এই পণ্যের সংকট কিংবা দাম না বাড়ে সেদিকে লক্ষ রেখে হিলি স্থলবন্দররের আমদানিকারকরা বেশি বেশি মসলা ভারত থেকে আমদানি করছে। ঈদের আগে আরও বেশি পরিমান মসলা আমরা আমদানির জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি এবার ঈদ উপলক্ষে মসলার দাম বাড়বে না।

হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্প্রতি কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মসলা পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গেলো ২২ কর্ম দিবসে ভারত থেকে বিভিন্ন প্রকার ১ লাখ ২০ হাজার ৬৯২ মেট্রিক টন মসলা আমদানি করা হয়েছে। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন