শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ খালেদার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কারো উসকানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বুধবার (০৭ মার্চ) বিকেলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির শীর্ষ নেতারা নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে তার (খালেদা) সঙ্গে দেখা করতে গেলে এ নির্দেশ দেন তিনি।

এদিন বিকেল ৩ টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস,  আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তারকে নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কারাগারে যান মির্জা ফখরুল।

সাক্ষাৎ শেষে বিকেল পৌণে ৫ টায় ফিরে এসে নাজিমুদ্দিন রোডে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে আলাপ করে এটুকু বুঝতে পেরেছি, তার মনোবল অত্যন্ত উঁচু আছে। তিনি সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিকুল পরিবেশ মোকাবেলা করছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিন বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তিপূর্ণ করার পায়তারা করছে। কিন্তু দেশনেত্রী আমাদেরকে সুনির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছেন, কারো উসকানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাওয়ার জন্য।’

ফখরুল বলেন, ‘এই কারারুদ্ধ অবস্থায় তিনি দেশের জন্য চিন্তা করছেন। তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন, তিনি অটুট আছেন, তার শরীর ভাল আছে। দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য যে কোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে তিনি প্রস্তুত আছেন।’

‘আমরা মনে করি সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বে-আইনিভাবে সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলা দিয়ে তাকে যে আজ কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে এবং সরকার বিভিন্ন কারচুপির মাধ্যমে বিভিন্ন ছল-চাতুরি করে তার কারাবাসকে দীর্ঘ করার চেষ্টা করছে— এ সবকিছুই দূরিভূত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে রাজনৈতিক সংগ্রাম চলছে, তা অব্যহত থাকবে’— বলেন বিএনপির মহাসচিব।

বিশেষ কোনো নির্দেশনা পেয়েছেন কি না?— এমন এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, দেশনেত্রী কারাবন্দি হবার পর থেকে একটা যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে আমরা দল পরিচালনা করছি, আন্দোলন করছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানে সঙ্গে পরামর্শ করেই সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত। ২৬ দিন পর আজই প্রথম বিএনপির শীর্ষ নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেলেন।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে আবেদন করেছিলাম। তারা আমাদের ৮ জনকে দেখা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।’

সারাবংলা/এজেড