বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ জয়ে ইংলিশ ক্রিকেট বদলেছে, পাল্টে গেছে মর্গানের জীবন

July 14, 2020 | 4:43 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

ক্রিকেটে ইংলিশ ইতিহাসের এক বছর পূর্ণ হলো। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই, অর্থাৎ আজকের দিনে প্রথম বিশ্বকাপ ছুঁয়েছিল ক্রিকেটের উদ্ভাবক দেশ ইংল্যান্ড। লর্ডসে সেদিন অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ দেখেছিল ক্রিকেটবিশ্ব। শেষ বল পর্যন্ত কেউ বাজি ধরে বলতে পারছিল না, কে হবে চ্যাম্পিয়ন। নির্ধারিত ওভারে ফাইনালের দুই দল ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের রান ছিল সমান। টাই ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ালে সেখানেও দুদলের রান সমান হয়। পরে নিয়ম মতে বেশি বাউন্ডারি মারা দল ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নাটকীয় সেই জয়টা পাল্টে দিয়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পরিবেশ। ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের নিয়ে উপমহাদেশে যাতো উন্মাদনা ইংল্যান্ডে ততোটা নেই। ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ইয়ান মর্গান বললেন, জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েও তেমন তারকাখ্যাতি ছিল না তার। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের পর পরিবেশটা পাল্টে গেছে। ইংল্যান্ডে এখন ক্রিকেট নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা। ক্রিকেটারদের প্রতি আগ্রহও বেড়ে গেছে।

বিশ্বকাপ জয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে লম্বা এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ান মর্গান। বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, ‘ আমার মনে হয় খেলাটার ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাইরে গেলে রাস্তায়, পাবে বা ক্যাফেতে লোকে আমাকে দেখলে ছুটে আসছে। শুধু দেশেই নয়, আমরা যখন ছুটিতে যাই, কেউ হয়তো কোনো টেনিস ম্যাচ বা গ্রাঁ প্রিঁ দেখতে গেল, সেখানেও একই চিত্র। কিংবা পাশের বাসায় চিৎকার শুনে কেউ হয়তো ভাবছে, তারা কী দেখছে! পুরো ব্যাপারটিই হচ্ছে ক্রীড়ার উৎসব, আর লোকে ট্রফি জিততে ভালোবাসে। ক্রিকেটের গুরুত্ব অবশ্যই বেড়ে গেছে এবং এভাবেই আমার জীবন বদলে গেছে। লোকে এখন আমাকে অনেক বেশি চেনে।’

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। পরের বারই স্বপ্নের শিরোপাটা জিতল ক্রিকেটের উদ্ভাবক দেশটি। মর্গান বলছেন, বিশ্বকাপ জয়ের মিশন শুরু হয়েছিল সেই ২০১৫ সালেই। এতো লম্বা সময় ধরে কষ্ট করে পাওয়া সাফল্যটা বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে বলছেন মর্গান।

বিজ্ঞাপন

ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, ‘জীবনে কোনো কিছুর জন্য বেশি পরিশ্রম করলে, সেটি বিশ্বকাপের জন্য হোক বা স্রেফ একটি ফরোয়ার্ড ডিফেন্সের জন্য তা কাজে লাগে। খাটুনি যত বেশি, ফল পেলে তৃপ্তিও মেলে বেশি। এটাই মানুষের ধরন, আমি এমনটিই মনে করি।’

লর্ডসের সেই ফাইনালকে ব্রিটিশ ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলছেন ইংলিশ অধিনায়ক, ‘সেই দিনটির (ফাইনাল) নাটকীয়তা আসলে খেলাটির দারুণ বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে। ফাইনালটি আসলে ক্রিকেটের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। এটি আসলে ব্রিটিশ ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা দিনগুলির একটি হয়ে উঠেছে এবং এভাবেই থাকবে আরও অনেক দিন। এটি আরও বেশি তৃপ্তিদায়ক।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন