বিজ্ঞাপন

ইতালিতে যেতে নিষেধাজ্ঞা ৫ অক্টোবর নয়, ৩১ জুলাই পর্যন্ত

July 16, 2020 | 2:10 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট ও যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইতালি। তবে সেই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা এবার কমিয়ে এনেছে দেশটির সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অর্থাৎ ১ আগস্ট থেকেই ইতালি যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৫ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ইতালির সংসদে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরানজা মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সংসদে বলেছেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ইতালি সরকারের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম ৩১ জুলাই পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৩টি দেশে অবস্থানরত নাগরিকদের ইতালিদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যে ১৩টি দেশের নাগরিক বা যে ১৩টি দেশে অবস্থানরত যেকোনো ব্যক্তির জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য, সেই দেশগুলো হলো— বাংলাদেশ, আর্মেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, বসনিয়া ও হারজোগোভিনা, চিলি, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া, মলডোভা, ওমান, পানামা, পেরু ও ডমিনিকান রিপাবলিক।

বিজ্ঞাপন

স্পেরানজা সংসদে বলেন, এসব দেশ থেকে আসা ও এসব দেশের পথে ইতালি থেকে সব সরাসরি ও সংযুক্ত ফ্লাইট স্থগিত থাকবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্যউপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা সার্বক্ষণিক হালনাগাদ করা হবে। এছাড়া নন-ইউরোপীয় ও নন-শেনজেন দেশ থেকে আসা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করা হবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এর আগে বাংলাদেশ ছাড়া বাকি ১২টি দেশের জন্য ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সব ফ্লাইট স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল ইতালি। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে একটি ফ্লাইট ইতালিতে পৌঁছানোর পর কয়েকজন বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। তবে তাদের কাছে কোভিড নেগেটিভ সনদ ছিল। এরপর তারা বাংলাদেশকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ওই সময় ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে বলেছিলেন, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে প্রত্যেককেই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মাত্রা ছাড়াতে থাকলে গত ৩১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করে কন্তে সরকার। প্রায় ছয় মাস হয়ে গেলেও সে জরুরি অবস্থা বহাল আছে। বছরের বাকি সময়টুকুও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন