বিজ্ঞাপন

৩৬ পেরিয়েও…!

July 16, 2020 | 10:36 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

৯০ দশকের শেষ দিকে লন্ডনে মডেলিং করতেন তিনি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে জুয়েলারীর বিজ্ঞাপনচিত্রে তার কাজ দেখে মুগ্ধ হন বলিউডের নামী পরিচালক কাঈজাদ গুস্তাদ। সিদ্ধান্ত নিলেন তার পরবর্তী ছবিতে নায়িকা করবেন মেয়েটিকে। ২০০৩ সালে কাঈজাদের ‘বুম’ ছবিতে নায়িকা হল মেয়েটি। হিন্দি ছবির ইতিহাসে যুক্ত হল আরেকজন অভিনেত্রীর নাম- ক্যাটরিনা কাইফ।

বিজ্ঞাপন

আজ (১৬ জুলাই) ৩৭ বছরে পা দিলেন এই বলিউড সুন্দরী। ১৯৮৩ সালের ১৬ জুলাই হংকং-এ জন্ম হয় ক্যাটরিনা কাইফের। বাবা ‘মোহাম্মদ কাইফ’ ভারতীয় এবং মা ‘সুজানা টার্কুট’ ইংরেজ। ব্রিটিশ নাগরিক ক্যাটরিনা ভারতে কাঈজাদের ‘বুম’ ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, তার আজকের এই অবস্থানে পৌঁছানোর দীর্ঘ সফরটা মোটেও মসৃণ ছিল না। নানা ওঠা পড়ার মধ্য দিয়ে তাকে বলিউড জগতে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে হয়েছে। নিজের প্রতিভা এবং কঠিন পরিশ্রমের জোরে আজ তিনি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী।

কেরিয়ারের প্রথম দিকে একজন আউটসাইডার হিসেবে এবং বিন্দুমাত্র হিন্দি না জানার কারনে প্রায় একঘরে থাকতে হয়েছে ক্যাটরিনাকে। তার অভিনয় নিয়ে অনেক কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু ভেঙে পড়েন নি ক্যাটরিনা, বরঞ্চ তিলে তিলে গড়ে তুললেন নিজেকে। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সুবিধা করতে না পেরে অভিনয় করেন তেলুগু ছবি ‘মালিশ্বরী’তে। এরপর তাকে দেখা যায় রাম গোপাল বর্মার ‘সরকার’ ছবিতে।

বিজ্ঞাপন

২০০৫ সালে ক্যাটরিনার জীবনের সেরা সুযোগটি আসে। বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের নায়িকা হিসেবে সুযোগ পান ‘ম্যানে পেয়ার কিউ কিয়া’ ছবিতে। আর এই ছবিতে তার গলা ডাবিং করাতে হলেও, নজর কাড়ে ক্যাটের স্ক্রিন প্রেজেন্স। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

২০০৭ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে পর পর দুটি ছবি মুক্তি পায় তার- ‘নমস্তে লন্ডন’ এবং ‘ওয়েলকাম’। দুটি ছবিই বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখে। এরপর ২০০৮ সালে অক্ষয়ের সঙ্গে ‘সিং ইজ কিং’ এবং ২০০৯ সালে জন আব্রাহামের সঙ্গে ‘নিউ ইয়র্ক’ তার কেরিয়ারকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। প্রশংসিত হয় ক্যাটের অভিনয়ও। পরবর্তী সময়ে সালমান খানের সঙ্গে ‘এক থা টাইগার’ ও ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’, হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘জব তক হ্যায় জান’ এবং আমির খানের সঙ্গে ‘ধুম-৩’ ছবি গুলোকে তার অভিনয় জীবনের অন্যতম ল্যান্ডমার্কও বলা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

‘মেরে ব্রাদ্রার কি দুলহান’ ও ‘নিউ ইয়র্ক’ ছবির জন্য দুইবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে নমিনেশন পেলেও জয় করতে পারেননি সে পুস্কার। তবে জি সিনে এ্যাওয়ার্ডস্‌, আইআইএফএ এ্যাওয়ার্ডস্‌, স্টার স্ক্রিণ এ্যাওয়ার্ডস্‌, স্টারডাস্ট এ্যাওয়ার্ড-সহ বেশ কিছু পুরস্কার জয় করেছেন ক্যাটরিনা। এছাড়াও ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পরপর তিন বছর পাঠকদের ভোটে বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময়ী এশীয় নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

ক্যাটরিনার সৌন্দর্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, দ্বিধা নেই তার আবেদন নিয়েও। অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। তবে সেই কমতি নিয়ে ঘাটানোর ইচ্ছা হয় না দর্শকদের। কারণ ক্যাটরিনার রূপ-লাবণ্যের কাছে অভিনয় না পারার দোষটা কম করেই দেখেন সবাই। তিনি যে ছবির মতো সুন্দর… ৩৬ পেরিয়েও তারই প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন বার বার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএসজি

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন