বিজ্ঞাপন

পদত্যাগ করলেন ডিজি হেলথ

July 21, 2020 | 7:35 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শেষ পর্যন্ত নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহপরিচালক (ডিজি হেলথ) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন দিকে একের পর এক যখন অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসছে, তখনেই পদত্যাগ করলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ডিজি হেলথ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন- সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নির্দেশে রিজেন্টের সাথে চুক্তি: ডিজি হেলথ

স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি আমার কাছে পদত্যাগপত্র দেননি। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

দেশে করোনাভাাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। তাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর শুরু থেকেই ছিল চাপের মুখে। অধিদফতরের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকেও নানা ধরনের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এর আগে অনুমতি ছাড়া বাসায় গিয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, সরকারিভাবে পরীক্ষা করিয়েও টাকা নেওয়া, নমুনা পরীক্ষা না করিয়েই করোনা রিপোর্ট দেওয়ার মতো প্রতারণার অভিযোগ ওঠে জেকেজি হেলথকেয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হলেও জেকেজি’কে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে অধিদফতরের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন- রিজেন্টের প্রতারণা: ডিজি হেলথকে ‘শোকজ’ মন্ত্রণালয়ের

সবশেষ রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা-অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, লাইসেন্সের মেয়াদ ছয় বছর আগে শেষ হলেও হাসপাতালটির সঙ্গে কোভিড চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চুক্তি সই করেছিল অধিদফতর। হাসপাতালটির বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেলেও অধিদফতর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সবশেষ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’র নির্দেশে রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

এই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘তোপের মুখে’ পড়েন ডিজি হেলথ। তাকে মন্ত্রণালয় থেকে ‘শোকজ’ করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’র বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। পরে মহাপরিচালক তার ব্যাখ্যায় ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ে সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলামের নাম বলেন। এ ব্যাখ্যার পর মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সারাবাংলা/এসবি/জেআর/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন