বিজ্ঞাপন

নদী ভাঙন ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের তৈরি থাকতে নির্দেশ

July 23, 2020 | 1:09 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বন্যা পরিস্থিতিতে সার্বক্ষণিক নজরদারি ও নদী ভাঙন ঠেকানোর জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে জিও ব্যাগ নিয়ে মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। একইসঙ্গে বাঁধ যেন না ভাঙে, সে বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি। এসব কাজে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনে সহযোগিতা নিতেও বলেছেন প্রতিমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ এবং বন্যা মোকাবিলায় করণীয় সংক্রান্ত এক জরুরি অনলাইন সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমও সভায় যুক্ত ছিলেন।

সভায় মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। সবসময় তাদের পাশে থাকবেন। তাদের পাশে থেকে কাজ করবেন। নদী ভাঙন রোধে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রাখবেন। মানুষের দুর্ভোগ যেন কম হয়, সেটাই লক্ষ্য থাকবে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা জানিয়ে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী। মাঠ পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা আগামীতে সব জেলাকেই স্থায়ী বাঁধ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসব। এরই মধ্যে হাতে নেওয়া সব নতুন প্রকল্পই স্থায়ী বাঁধের আদলে ডিজাইন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতের আবহাওয়া পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে CEGIS-এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা জানান, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও তা আটাশির বন্যার মতো হবে না। বন্যা দীর্ঘায়িত হতে পারে। তাই সব প্রস্তুতি রাখা সমীচীন হবে।

অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা বাঁধ মেরামতের চেয়ে কেন বাঁধ ভাঙে, তা পর্যালোচনার তাগিদ দেন। তারা আবহাওয়া পূর্বাভাসকে আরও শক্তিশালী ও সুদূরপ্রসারী করার পরামর্শ দেন।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আজ সকাল পর্যন্ত বিপৎসীমার ওপরে পানি থাকা নদীর সংখ্যা ১৬। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে যমুনা ও বুধবারের মধ্যে পদ্মার পানি সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে তা অব্যাহতভাবে কমতে থাকবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন