বিজ্ঞাপন

প্রেসিডেন্ট সৌরভের মেয়াদ বেড়েছে, ভাগ্য নির্ধারণ আগস্টে

July 23, 2020 | 1:23 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই’র সভাপতি পদে সৌরভ গাঙ্গুলির বহাল থাকার কথা ছিল ২৭ জুলাই পর্যন্ত। এরপর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে তার মেয়াদ ছয় বছর করার জন্য গত এপ্রিল মাসে করা আবেদন করে বিসিসিআই। গতকাল বুধবার (২২ জুলাই) শুনানির দিন থাকলেও তা সুপ্রিম কোর্ট পিছিয়ে দিয়েছে দুই সপ্তাহের জন্য। আর তাতেই সৌরভ গাঙ্গুলির প্রেসিডেন্ট থাকার মেয়াদও কমপক্ষে এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব পদে জয় শাহর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে মে মাসে, আর সভাপতি পদে সৌরভ গাঙ্গুলীর মেয়াদ শেষ হতো আগামী ২৭ জুলাই। সৌরভ ও শাহ গত অক্টোবরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুই শীর্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন গত অক্টোবরে। লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও বোর্ড মিলিয়ে টানা ছয় বছর হয়ে গেলেই কোনো পদাধিকারীকে তিন বছরের বাধ্যতামূলক বিশ্রামে যেতে হবে।

সেই হিসেবে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও বোর্ড মিলিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র ছেলে জয়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে মে মাসে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট সংস্থা সিএবি’র পদ ও বোর্ড মিলিয়ে সৌরভের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৭ জুলাই। তবে সুপ্রিম কোর্ট শুনানি দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ায় আপাতত সৌরভের মেয়াদ বেড়েছে আরও সপ্তাহখানেক। আর যদি সুপ্রিমকোর্টে এই আপিল গৃহিত হয় তাহলে সৌরভ গাঙ্গুলির প্রেসিডেন্সির মেয়াদ বেড়ে ২০২৫ পর্যন্ত দাঁড়াবে।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা মনে করেন, লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই সৌরভের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সৌরভের অধীনে নতুন বোর্ড গঠন হয়েছে গত বছরের অক্টোবরে। অর্থাৎ বর্তমান সময় পর্যন্ত হিসেব করলে তা দাঁড়ায় মাত্র ৯ মাস। যার ভেতরে চার মাস আবার করোনা মহামারির কারণে নিশ্চল হয়ে আছে বোর্ড।

সবদিক বিবেচনা করে চলতি বছরের এপ্রিলেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করে বোর্ডের সভাপতি এবং সচিবের পদে বসার মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হোক। ভারতীয় ক্রিকেট মহলের অনেকের ব্যাখ্যা, ‘বোর্ডে যেতে গেলেও রাজ্য সংস্থায় একজন কর্মকর্তাকে কিছু সময় কাটিয়ে যেতে হয়। তা না হলে অভিজ্ঞতা হবে কীভাবে? লোধা কমিশনের নিয়ম মানতে গেলে তো একসময় অভিজ্ঞ ক্রিকেট সংগঠকই পাওয়া যাবে না।’

২০১৫ সালে আইপিএল’র ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর গঠিত হয় লোধা কমিশন। আর তাদের সুপারিশের ফলেই সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশনা দেয়, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও বোর্ড মিলিয়ে টানা ছয় বছর হয়ে গেলেই পদাধিকারীকে তিন বছরের বাধ্যতামূলক বিশ্রামে যেতে হবে। এর আগে এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না বলেই রাজ্য সংস্থা ও বোর্ড মিলিয়ে এন শ্রীনিবাসনের মতো কর্মকর্তারা ৩০-৩৫ বছর ধরেও ক্ষমতাসীন ছিলেন। আর স্বেচ্ছাচার রুখতেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্রে আসে বড় ধরনের সংস্করণ। এবার আবারও সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করে সেই গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনতে চায় বিসিসিআই। সৌরভ গাঙ্গুলি বিসিসিআই’র দায়িত্ব গ্রহণের আগে দীর্ঘদিন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত হয়েছে আদালত নির্দেশিত কমিটি অব অ্যাডমিনস্ট্রেটর্স (সিওএ) দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন