বিজ্ঞাপন

একনেকে ৩ হাজার কোটি টাকার ৭ প্রকল্প অনুমোদন

July 28, 2020 | 5:23 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধনীসহ ৩ হাজার ৭৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ৭ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজশাহী মহানগরীতে পানি সরবরাহ ও খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা নাগরিকদের কথা ভেবে টাকা দিচ্ছি। কিন্তু ভবিষ্যতে সংস্থাগুলোকে নিজেদের টাকাতেই এরকম প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে অনেক ক্ষেত্রে আমরা এগিয়েছি। আবার অনেক ক্ষেত্রে এগুতে পারিনি। তবে যেসব খাতে আমাদের বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার (যেমন স্বাস্থ্য, কৃষি, পানি সম্পদ ইত্যাদি) এগুলো আগে গুরুত্ব পাবে। তবে সার্বিকভাবে পর্যায়ক্রমে সব খাতেই গুরুত্ব দেয়া হবে।’

প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পারাস্পারিক সমন্বয় কাজে গতি যেমন বাড়ায় তেমিন অপচয়ও কমায়।’ এছাড়া আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা চিরদিনের জন্য নয়। সুফলভোগীদের স্বাবলম্বী করতে হবে। ক্ষুদ্র ঋণ মানুষকে পুরোপুরি স্বাবলম্বী করে না। এজন্য সঞ্চয়ের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষদের ক্ষুদ্র ঋণের চক্কর থেকে বের করে এনে স্বাবলম্বী করতে হবে।’

এছাড়া সেচ প্রকল্প নেওয়া ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এরকম প্রকল্প পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কিন্তু প্রয়োজনীয় হওয়ায় সাবধানে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে পরিবেশ ঠিক থাকে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘সরকার একক। হাত-পা অনেক আছে। কিন্তু হৃদয় একটি। তাই সরকারের পক্ষ থেকে কৃচ্ছতা সাধনে যে নির্দেশনাই আসবে তা মেনে চলা হবে।’

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্প গুলো হচ্ছে- রাজশাহী মহানগরীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পুনর্বাসন প্রকল্প, যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা; ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেস্ট ‘যত্ন’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৮০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এছাড়া ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৮৮৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ৭৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি নিজেস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ১৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বিদেশি ঋণ থেকে ৯৪২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন