বিজ্ঞাপন

লিয়াকতসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে সিনহার বোনের মামলা

August 5, 2020 | 2:49 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার। বুধবার (৫ আগস্ট) সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফের বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলায় টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলি এবং টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসসহ মোট নয় পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ। সেইসঙ্গে মামলাটি র‌্যাবের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলাটি রুজু বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার আদেশ দেন বিচারক। সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আদালতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকমান্ডো ট্রেনিংপ্রাপ্ত সাবেক এসএসএফ সদস্য। দুই বছর আগে তিনি সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। তিনি ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তার সঙ্গে আরও তিন সঙ্গী ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের কথা জানিয়ে ওই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। তবে ঘটনার যে বিবরণ পুলিশ দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন:

মেজর সিনহার মাকে টেলিফোন, বিচারের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনা তদন্ত করতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলিকে আহ্বায়ক করে গত ১ আগস্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কমিটিতে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়।

পরে ওই একই দিনে এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। যুগ্মসচিব পদমর্যাদার চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের ওই কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটির কর্মপরিধি তুলে ধরে বলা হয়, কমিটি ওই ঘটনার বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার কারণ ও উৎস বের করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়সহ সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করবে।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আর যে পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়েছিলেন, সেই পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ২০ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সিনহার মা নাসিমা আখতারকে ফোন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন