বিজ্ঞাপন

১০ দিনের রিমান্ড শেষ, সাতক্ষীরা কারাগারে রিজেন্টের সাহেদ

August 5, 2020 | 7:52 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সাতক্ষীরা: ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় সাহেদকে সাতক্ষীরার আমলি আদালত ৩-এ নেওয়া হয়। সেখানে বিচারক রাজীব রায় তাকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, ৩০ জুলাই রিমান্ডের চতুর্থ দিনে সাহেদকে খুলনার র‌্যাব কার্যালয় থেকে তার গ্রেফতারস্থল সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী শাখরা-কোমরপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া যায়। বিকেলে তাকে লাবণ্যবতি নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের ওপর মিনিট দশেক রাখা হয়। পরে তাকে ফের খুলনায় র‌্যাব-৬-এর সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডে পাওয়া তথ্য না জানানো হলেও দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সাহেদ করিম মাঝে মাঝে খুব ক্ষ্যাপাটে আচরণ করছেন। আবার কখনো কখনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। তবে গ্রেফতার হওয়ার আগে সাতক্ষীরায় তার অবস্থান ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন তিনি।

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এসআই রেজাউল ইসলাম বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।

বিজ্ঞাপন

দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৬ জুলাই ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সাতক্ষীরার আমলি আদালত ৩-এর বিচারক (ভার্চুয়াল) রাজীব রায়। পরদিন তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তের লাবণ্যবতী নদীর ওপর নির্মিত ব্রেইলি ব্রিজের নিচ থেকে সাহেদকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

ওই দিন রাতে র‌্যাব ৬-এর সিপিসি ১-এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইন ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিন জনকে আসামি করা হয়।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন