বিজ্ঞাপন

ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিতের তাগিদ আইএমএফ ‘র

March 8, 2018 | 8:13 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সরকারী ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতেও সুশাসন প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সফররত আইএমএফ দলের প্রধান তাইসাকু কিহারা এমন তাগিদ দেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও ঝুকি ব্যবস্থাপণা জোরদার করতে হবে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালক নিয়োগে যথাযথ প্রক্রিয়া থাকতে হবে। অন্যথায়, তা সমস্যা তৈরি করবে।

আইএফএম এর একটি প্রতিনিধি দল দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকা সফর করে। দলটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসে। দলের নেতৃত্ব দেন তাইসাকু কিহারা। এসময় তারা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, অর্থসচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে তাইসাকু কিহারা বলেন, ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে দীর্ঘমেয়াদে মূলধন জোগান করতে আর্থিক খাত আরও শক্তিশালি করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে নজরদারি ও তদারকি বাড়াতে হবে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন জরুরি। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোতে সুশাসনে জোর দিতে হবে। এ সব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ে আইনি সংস্কার করতে হবে। বাজার নির্ভর সঞ্চয়পত্রের সুদহার আর্থিক খাতকে আরও শক্তিশালি করবে।

তাইসাকু কিহারা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা দেশটির জন্য চাপ তৈরি করবে। মিয়ানমার থেকে আসা এসব নাগরিক বাংলাদেশের বাজেটে ব্যয় বাড়াবে। রোহিঙ্গা সঙ্কটে দেশটির প্রতি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর আর্থিক সহায়তা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিক ভাবে অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে মুদ্রানীতি ব্যবস্থাপণা ও বাজেট নীতির কারণে। তবে এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হবে প্রবৃদ্ধির স্বার্থে। অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। হঠাৎ করে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। কিন্তু প্রবাসী আয় কমে গেছে। যা উদ্বেগের।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ বলে, আর্থিক খাত কে আরো দক্ষ করতে হবে, ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করতে হবে এবং সুশাসনে জোড় দিতে হবে বাংলাদেশকে। মুদ্রানীতিতে সজাগ থাকতে হবে মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বমুখি চাপের দিকে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে প্রবৃদ্ধির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সরকারি খাতে বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালি করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারকে রাজস্ব আহরণে নজর দিতে হবে সরকারি বিনিয়োগ ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় পর্যাপ্ত রাখতে। সরকারি বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নতি করতে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে, রপ্তানি বহুমুখিকরণ করতে। এ জন্য কর আওতা বাড়াতে হবে, বিলম্বিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন বাস্তবায়ন, প্রত্যক্ষ কর  বাড়ানোর বিষয়টিকে  অগ্রাধিকার দিতে হবে। কর প্রশাসনের উন্নয়ন করতে হবে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতা আনতে হবে কর প্রশাসনে।

এক প্রশ্নের জবাবে তাইসাকু কাহিরা বলেন, দেশে কোন রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হলে তা অর্থনীতিকে ঝুকিতে ফেলবে। আইএমএফ সরকারকে নীতি সহায়তা ও সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। আর্থিক খাত তদারকি, রাজস্বনীতি, মুদ্রানীতিতে সব সহায়তা আমরা দিতে প্রস্তত। আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কার্যক্রমে বাংলদেশ ব্যাপক অগ্রগতি করেছে। তবে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অন্তর্ভূক্তিমূলক কার্যক্রম আইনি কাঠামো আনতে হবে বলেও এসময় বলেন আইএমএফ’র এ কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/জিএস/এমএস

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন