বিজ্ঞাপন

বুধবার থেকে ভার্চুয়াল ও শারীরিক— দু’ভাবেই চলবে হাইকোর্ট

August 10, 2020 | 4:30 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়াল ও শারীরিক উপস্থিতিতে উভয় ধরণের আদালত পরিচালনার জন্য বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শুধুমাত্র ভার্চুয়ালি বিচার কাজ চললেও বুধবার থেকে শুরু হবে শারীরিক উপস্থিতিতে নিয়মিত আদালতের বিচার কাজ। এ লক্ষ্যে সোমবার (১০ আগস্ট) বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

বিজ্ঞাপন

সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বেঞ্চের তালিকায় দেখা যায়, ভার্চুয়ালি শুনানির জন্য ৩৫টি বেঞ্চ এবং শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে শুনানির জন্য ১৮টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। বুধবার (১২ আগস্ট) থেকে এসব বেঞ্চে বিচার কাজ শুরু হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির এ সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তারা মনে করছেন, এর ফলে হাইকোর্টের বিচার কাজে বেশ গতি আসবে। তবে আইনজীবী কুমার দেবুল দে সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্বল্প সংখ্যক নিয়মিত আদালত চালু হওয়ায় আমরা হতাশ। প্রত্যাশা ছিল শারীরিক উপস্থিতিতে বেশি সংখ্যক আদালত চালু হবে। কিন্তু দেখলাম ভার্চুয়াল আদালতের সংখ্যা বেশি। আর শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের সংখ্যা কম। তারপরও প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ। স্বল্প পরিসরে হলেও শুরু হয়েছে।’

যেসব বিচারপতি শারীরিক উপস্থিতিতে কোর্ট পরিচালনায় সম্মত হয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানান এই আইনজীবী। তবে সেইসঙ্গে ভার্চুয়াল এবং শারীরিক আদালত পরিচালনা আইনজীবীদের জন্য কষ্টসাধ্য হবে বলেও মনে করছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শারীরিক উপস্থিতিতে ১৮টি বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ, বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল, বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম এবং বিচারপতি ফাতেমা নজীব, বিচারপতি বোরহান উদ্দীন এবং বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হক, বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন, বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার, বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি এবং বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মো. খায়রুল আলম, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফুলকোর্ট সভায় দুইভাবে উচ্চ আদালতের বিচার কাজ পরিচালনার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় উভয় বিভাগের বিচারপতিরা ভিডিও কনফারেন্সে নেন।

সভা সূত্র জানায়, হাইকোর্ট বিভাগের প্রায় ৪০ জন বিচারপতি শারিরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যারা শারিরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নয়, তাদেরকে ভার্চুয়াল বেঞ্চ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ফুলকোর্ট সভায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন