বিজ্ঞাপন

সবাইকে মাস্ক পরাতে প্রয়োজনে মাঠে নামবে ভ্রাম্যমাণ আদালত

August 10, 2020 | 5:44 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে প্রতিটি মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে চায় সরকার। এর জন্য মাঠ প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে সবার মধ্যে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এমন কঠোর অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভার্চুয়াল এই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে যে মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। অনেকের মধ্যেই সচেতনতা কমে গেছে। সেটা আরও বাড়াতে হবে। কারণ করোনা মোকাবিলার অন্যতম প্রধান মাধ্যমই হলো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা থাকা। তাই এটা নিয়ে প্রচারণা চালাতে হবে, প্রয়োজন হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসাতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে কালও (রোববার) সচিব কমিটিতে আলাপ-আলোচনা করে নির্দেশনা দিয়েছি, মাঠ প্রশাসনকেও বলে দিয়েছি— এনফোর্সমেন্টেও যেতে হবে।

গণভবন থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত খবর প্রচার করতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য বলা হয়েছে। সশরীরে মাঠে গিয়ে মাইক দিয়ে প্রচার করতে হবে, বিলবোর্ড লাগাতে হবে। উদ্দেশ্য একটাই— মানুষ যেন একটু সতর্ক হয়। সবাইকে সতর্ক থকতে হবে। রেডিও, টেলিভিশনসহ সব মাধ্যমকে ব্যবহার করে প্রচারণা চালাতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। সচিব কমিটির মিটিংয়ে এসব বিষয় খুব স্ট্রংলি রিকমেন্ড করেছি।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সচেতনতা তৈরি এবং মাস্ক না পরার কারণে শাস্তির মুখোমুখি করা— ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে দুইটি উদ্দেশ্যই থাকছে। কোথাও মাস্ক না পরার কারণে কাউকে সাজা দিলে সেটাও প্রচারের আলোয় আনা হবে। মূল কথা, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। আমরা দেখেছি, মাস্ক অনেকের পকেটে থাকে, কিন্তু পরে না। এই প্রবণতা দূর করতে হবে।

ভাদ্রের বন্যা নিয়ে প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ

মন্ত্রিসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমে গেছে। তবে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস, আরও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সেই অনুযায়ী আমাদের সতর্ক থাকতে ও প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

সচিব বলেন, এখন সারাদেশে যে বন্যা চলছে, সেই বন্যার পানি এরই মধ্যে ১৮-২০ দিন ধরে রয়েছে। অনেক জায়গায় পানি নেমে যাচ্ছে। তবে ভাদ্র মাসে ফের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু দীর্ঘ সময় স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সে বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন