বিজ্ঞাপন

‘বন্যায় জলাবদ্ধতা কমাতে নদ-নদী ড্রেজিংয়ে সমীক্ষা হচ্ছে’

August 10, 2020 | 9:00 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের নদ-নদীগুলোতে পানির ধারণ ক্ষমতা জানতে সমীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে। এই সমীক্ষার ওপর নির্ভর করে নদ-নদীগুলো ড্রেজিং করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ আগস্ট) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে মুজিবর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘অন্যান্য সময়ে তুলনায় এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। একদিকে বেশি বৃষ্টিপাত, অন্যদিকে উজানের পানি- এসব মিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সেজন্য বৃষ্টির পরিমাণ কত, কী পরিমাণ পানি উজান থেকে আমাদের দেশে আসে সেসব পর্যালোচনা করে আরও ৫ শতাংশ বেশি ধরে একটা সমীক্ষা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সমীক্ষা শুরু করতে বলা হয়েছে। সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য- এই মৌসুমে বাড়তি পানি ধারণ করতে কতগুলো নদ-নদী, কত দৈর্ঘ্য এবং কতটা গভীর ড্রেজিং করতে হবে। পাশাপাশি খালগুলো ড্রেজিং করার জন্যও আরেকটি সমীক্ষার দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষার প্রতিবেদন পেলে এ কাজে কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা সরকারের কাছে চাওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি বাংলাদেশে আসবে। এটা বন্ধ করার কোনো উপায় নেই। কারণ বাংলাদেশ ভাটি অঞ্চল। নেপাল, ভুটান, ভারত, চীনের মতো উজান দেশগুলোতে বৃষ্টি হলে সেই পানি বাংলাদেশে গড়াবেই। যেহেতু পানি এখানে আসবে, সেহেতু পানিটাকে আমাদের ধারণ করতে হবে। সেজন্য নদ-নদীগুলোকে খনন করে কাজ লাগাতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর ডেলটা প্ল্যান-২০২১ করার কথা বলা হয়েছে। সেজন্য ৬৪ জেলায় ৪৪৮টি খাল খননে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের অর্ধেক কাজ শেষও হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন