বিজ্ঞাপন

নিম্নমানের কাজ করা ঠিকাদারদের শাস্তি দিতে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ

August 10, 2020 | 11:41 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গ্রামেগঞ্জে রাস্তাঘাট নির্মাণে যাতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার না হয়, তা তদারকি করতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সেইসঙ্গে নিম্নমানের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের শাস্তির আওতায় আনতে একটি গাইডলাইন তৈরি করতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ের নিজ কার্যালেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের কর্মরত প্রকৌশলীদের নিয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সভায় এ দিক নির্দেশনা দেন তিনি।

এ সময় কাজে গতি আনতে প্রত্যেক কাজের জন্য বছরের শুরুতেই একটি ওয়ার্ক প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা তৈরির কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। এছাড়া অবকাঠামো ও নির্মাণ প্রকল্পে গুণগতমান ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কোনো বাধার কাছে নত স্বীকার না করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভয় দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে (এলজিইডি) অত্যন্ত বিচক্ষণ মেধাবী যোগ্য প্রকৌশলীরা আছেন; যারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর মাঠ পর্যায়ে যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ৬৪ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতরে মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।’

বিজ্ঞাপন

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদারি কাজের জন্য যেসব নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয় সেগুলো টেস্ট করার জন্য এখন আর ঢাকায় আসতে হয় না। সুতরাং ঠিকাদারের কাজের গুণগতমান এখন খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় সম্পূর্ণ রাস্তায় বক্স একবারে কেটে ফেলে রাখা হয়। এটি করা যাবে না এবং বক্স কেটে বেড ফিলিং করে অবশ্যই রোলার করতে হবে।’

সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে তদারকি বাড়ানোয় অবকাঠামো নির্মাণে দুর্নীতি কমে আসছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন