বিজ্ঞাপন

‘মিডিয়াগুলো আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে’, অভিযোগ রিয়ার

August 11, 2020 | 12:53 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনায় অনুরাগীদের কাছে ‘খলনায়িকা’ হিসেবেই আখ্যায়িত হচ্ছেন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ‘অ্যারেস্ট রিয়া’ হ্যাশট্যাগ। আর এরই মধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন রিয়া চক্রবর্তী। বললেন, সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় মিডিয়া অযথাই তাকে নিশানা করছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ আগস্ট) সুশান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। ভারতের শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছেন একটি হলফনামা। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মিডিয়ায় সুশান্তের মামলা নিয়ে অকারণ কাটাছেঁড়া হচ্ছে। মামলার সাক্ষীদের জেরা, পাল্টা জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুতে খুনের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই আমাকে মিডিয়া দোষী সাব্যস্ত করে ফেলেছে।’

সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে রিয়া দাবি করেছেন, ‘টু জি কেলেঙ্কারি এবং তলওয়ার খুনের মামলাতেও এটাই হয়েছিল, কিন্তু পরে দুইটি ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হন।’

বিজ্ঞাপন

রিয়া চক্রবর্তী বর্তমানে ‘সিবিআই’ তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, এর আগে সুশান্তের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের জন্য তিনি নিজে ‘সিবিআই’ তদন্ত চেয়েছিলেন। সুশান্তের মৃত্যুর কয়েকদিন পরই ইনস্টাগ্রাম মেসেজে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে ‘সিবিআই’ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন রিয়া। কিন্তু ‘সিবিআই’ মামলা হাতে নেওয়ার পর সেই রিয়াই ‘সিবিআই’ ও ‘ইডি’র এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

‘সিবিআই’ ও ‘ইডি’র তদন্তের বিরোধিতা করেছেন তিনি। তার দাবি, ‘যে রাজ্যে ঘটনাটি ঘটেছে, একমাত্র সেই রাজ্যের সরকার আর হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট চাইলে ‘সিবিআই’ কোন মামলার তদন্ত করতে পারে। এ ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র সরকার চাচ্ছেনা, তবু কেন তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হল?’

রিয়া আরও বলেছেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্ত কোনও দিনই দিনের আলো দেখে না। আবার খুব সামান্য কিছু ঘটনাতেও এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে এরা মামলা হাতে নেয়।’ হলফনামায় তিনি দাবি করেছেন, তাকে রাজনৈতিক এজেন্ডার বলির পাঁঠা করা হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেট (ইডি) অফিসের কর্মকর্তাদের জেরায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে, তা হল- মাত্র এক বছরের মধ্যে রিয়ার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৬,২৮১ টাকার থেকে এক লাফে ৯,০৫,৫৯৭ হয়ে গেছে! এটা কিভাবে সম্ভব হল? সুশান্তের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়াকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছে, তার প্রমাণ ইডির কাছে রয়েছে৷ কিন্তু এই টাকার কোনও উল্লেখ রিয়ার আয়কর রিটার্নে নেই! কিন্তু কেন? চুপ রিয়া!

রিয়ার আইটি রিটার্নেও মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ২০১৭-১৮ সালে রিয়ার আয় ছিল ১৮,৭৫,০০০ টাকা, কিন্তু ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে সে আয় কমে গিয়ে হয়েছে ১৮,২৩,০০০ টাকা৷ তাহলে এই অবস্থায় কি ভাবে দু’টি বিশাল ফ্ল্যাট ও দামি গাড়ি কিনেছেন রিয়া, প্রশ্ন তুলেছে ইডি৷ এখানেও চুপ রিয়া! কিছুই মনে পড়ছে না তার!

সারাবাংলা/এএসজি

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন