বিজ্ঞাপন

তারেক মাসুদের ‘কাগজের ফুল’ কবে ফুটবে?

August 13, 2020 | 2:24 pm

আহমেদ জামান শিমুল

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নির্মাতা তারেক মাসুদ ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মারা যান এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায়। সে সময় তিনি মানিকগঞ্জ থেকে ফিরছিলেন ‘কাগজের ফুল’ ছবির লোকেশন দেখে। তার মৃত্যুর পর ছবিটির নির্মাণ কাজ থেমে রয়েছে। বেশ কয়েকবার শুরুর কথা শোনা গেলেও প্রায় ১০ বছর ধরে কোনো আপডেট নেই ছবিটির।

বিজ্ঞাপন

তাহলে কি ছবিটি আর হচ্ছে না? সারাবাংলা কথা বলে তারেক মাসুদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করা চলচ্চিত্র পরিচালক প্রসূন রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছবিটি হবে। তারেক ভাইয়ের একটি স্বপ্নের প্রজেক্ট এটি।’

তারেক মাসুদ মারা যাওয়ার পর থেকে ছবিটির যাবতীয় কাজ দেখাশোনা করছেন তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ। প্রসূন বলেন, আবার নতুন করে ছবিটির কাজ শুরুর করার জন্য যে পরিমাণ মানসিক শক্তির দরকার তা হয়তো ক্যাথরিন এখনও সঞ্চয় করতে পারেননি। নিশ্চয় তিনি একসময় না একসময় তা সঞ্চয় করে কাজটি এগিয়ে নিবেন। অবশ্যই সুবিধাজনক একটি সময়ে ‘কাগজের ফুল’র কাজ আবার শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

ছবিটি ২০১২-১৩ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানে ৩৫ লাখ টাকা পেয়েছিলো। ক্যাথরিন তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর সে টাকা ফেরতো দিতে চেয়েছিলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় ফেরত না নিয়ে কাজটা শেষ করতে বলেছিলেন।

প্রসূন এ তথ্যের সংশোধন করলেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি অনুদানের জন্য আমরা তারেক ভাই মারা যাওয়ার পর আবেদন করেছিলাম। সরকার আমাদের প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছিলো। তখন ক্যাথরিন বলেছিলেন, আমরা কাজটা শুরু করতে তো দেরি হবে তাহলে টাকাটা পরে নিই। জানেনই তো সরকারি টাকা ফেরত দেওয়া প্রক্রিয়া বেশ জটিল। তাই সে টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।’

প্রসূন রহমান জানালেন, ক্যাথরিন মাসুদ বর্তমানে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়ার চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাথরিনের পরিবারের সবাই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। আমার দুর্ভাগ্য তার মতো আমাদের এখানে রেখে দিতে পারলাম না। তারেক মাসুদকে ভালোবেসে তিনি এ দেশে শুধু থেকে যাননি। তিনি ছিলেন একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক, সম্পাদক। তিনি নিজেও সহনির্মাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে আমাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে রেখে দিতে পারলে ভালো হতো।’

বিজ্ঞাপন

‘কাগজের ফুল’ নিয়ে প্রসূন সবশেষ বলেন, ‘এটি অনেক বড় প্রজেক্ট, অনেক বড় প্রস্তুতিরও দরকার আছে। আশা করছি আমরা ছবিটি সবার সামনে আনতে পারবো শিগগিরই।’

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব কানে ২০০২ সালে ‘ডিরেক্টস ফোর্টনাইট’-এ প্রদর্শিত হয়েছিলো তারেক মাসুদের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘মাটির ময়না’। ছবিটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলো। তার অন্য দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘অন্তর্যাত্রা’ ও ‘রানওয়ে’। এছাড়া ‘মুক্তির কথা’, ‘আদমসুরত’, ‘মুক্তির গান’, ‘আ কাইন্ড অফ চাইল্ডহুড’, ‘নারীর কথা’সহ আলোচিত কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন তারেক মাসুদ।

সারাবাংলা/এজেডএস/

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন