বিজ্ঞাপন

সুশান্তের এফডিআর ভেঙে সাড়ে চার কোটি টাকা তুলে নেন রিয়া!

August 13, 2020 | 6:58 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

সোমবার (১০ আগস্ট) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসে সপরিবারে হাজিরা দিতে হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীকে। সেদিন রিয়ার সাথে তার মা-বাবা ও ভাইকেও জেরা করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অফিসের কর্মকর্তারা। সেই সাথে অভিনেত্রী রিয়া, তার ভাই সৌভিক এবং বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি অফিসের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রিয়ার পরিবারের দু’টি ল্যাপটপ এবং দু’টি আইপ্যাডও। ইডি অফিসের পক্ষ থেকে জানান হয়, রিয়ার পরিবারের প্রত্যেকের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হবে। আর এতেই প্রকাশ্যে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুশান্ত সিং রাজপুতের দুটি ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা তোলা হয়। সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে এই ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা তুলে নেন রিয়া।

বিজ্ঞাপন

ইডি অফিসের সুত্র দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গতবছর নভেম্বর মাসে রিয়া চক্রবর্তী সুশান্ত সিং রাজপুতের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিশাল অংকের দু’টি ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙেন। নভেম্বরের ২৬ তারিখে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক থেকে যথাক্রমে একবার দুই কোটি টাকা এবং পরের বার আড়াই কোটি টাকা-সহ মোট সাড়ে চার কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙা হয়। এত পরিমাণ টাকা কেন তোলা হয়েছিল? কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে? ইডি কর্মকর্তাদের জেরায় সেই সম্পর্কিত কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেননি রিয়া চক্রবর্তী। এদিকে সুশান্তের প্রাক্তন বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদিকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই সম্পর্কে কোনও তথ্যই তার কাছে নেই। কারণ সুশান্তের আর্থিক বিষয় গুলো রিয়া একাই দেখভাল করতেন।

ইডি অফিস থেকে আরও জানান হয়, রিয়া চক্রবর্তীর ফোন বাজেয়াপ্ত করার পর ইডি কর্মকর্তারা লক্ষ্য করেন সুশান্তের কোম্পানির নাম প্রকাশ্যে আসার পরপরই মুছে ফেলা হয় হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের বেশ কিছু অংশ। এমন কি ওই সংস্থার আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গিয়েছে গত এক বছরের মধ্যে সতেরবার জায়গা বদল করা হয়েছে। তারা এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যই খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন ইডি অফিসের তদন্তকারীরা।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, সুশান্তের বাবা আগেই পাটনার রাজীবনগর থানায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, রিয়া এবং তার পরিবার সুশান্তের টাকা আত্মসাৎ করে তাকে নিজের পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। এমন কি মোটা অঙ্কের টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়েও নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তকে মানসিক অবসাদের ঔষধের ওভারডোজ দেওয়ারও অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। জানা গেছে, সুশান্তের পরিবার থেকে করা যাবতীয় বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে ‘সিবিআই’।

সারাবাংলা/এএসজি

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন