বিজ্ঞাপন

পরিচ্ছন্ন নগরীর হারানো গৌরব ফেরাতে চান চসিক প্রশাসক

August 16, 2020 | 11:30 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম নগরী হিসেবে সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলের গৌরব ফিরিয়ে আনতে চান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ আগস্ট) নগরীর আন্দরকিল্লায় সিটি করপোরেশনের পুরাতন নগর ভবনে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময়ে একথা জানিয়েছেন তিনি।

প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগরবাসীর স্বার্থে বর্জ্য অপসারণে গতি ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহর যদিও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কিন্তু এর গুরুত্ব অনেক বেশি। চট্টগ্রাম হল দেশের হৃৎপিণ্ড। নাগরিক স্বার্থে নগরের আবর্জনা ও বর্জ্য অপসারণে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মূল চালিকা শক্তি দুটি- একটি পরিচ্ছন্ন ও অন্যটি প্রকৌশল বিভাগ। চলমান বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ভরাট নালা-নর্দমার মাটি, আবর্জনা অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। খাল-ছড়া, নালা-নর্দমার ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে।’

প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলের উদাহরণ টেনে সুজন বলেন, ‘আমাদের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ওপর ভিত্তি করে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলেছিলেন। সেসময় পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রামের প্রশংসা শুধু দেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এটি উদাহরণ হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে হেলদি সিটি হিসেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে তিনি পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু নানা কারণে চট্টগ্রামের সেই গৌরব এখন আর নেই। আমি চট্টগ্রামের সেই হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

পরিচ্ছন্ন কর্মীদের উদ্দেশে সুজন বলেন, ‘কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কাজে আন্তরিকতা, শতভাগ সততা থাকতে হবে। অতীতের কাজের বিষয়ে কিছুই বলার নেই, এখন থেকে সকলকে শতভাগ সততার সাথে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যারা ভালো কাজ করবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতা ও সততার ঘাটতি পরিলক্ষিত হলে তার পরিণাম ভোগ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

সেপ্টেম্বর থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও ফলমণ্ডি পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য লিফলেট বিতরণ, প্রতিটি দোকানে ময়লা রাখার জন্য কালো বস্তা বিতরণ করার কথা সভায় জানান চসিক প্রশাসক। এছাড়া যেসব দোকানদার ময়লা যত্রতত্র ফেলবেন তাদের জরিমানা করার নির্দেশনাও দেন তিনি।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে সভায় সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন