বিজ্ঞাপন

‘নিহত ৩ কিশোরকে মারধর করেছিল শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা’

August 17, 2020 | 12:29 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

যশোর: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের নির্মম মারধরে তিন কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া কেন্দ্রের ৫ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

সমাজসেবা অধিদফতরের করা দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান সৈয়দ মো. নূরুল বশির জানান, ইতিমধ্যেই তারা যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কিশোরদের সাথে কথা বলেছেন। তদন্তের জন্য আজ তারা যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রেও যাবেন। এরপর ঢাকায় গিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের রিপোর্টদেবেন। ইতিমধ্যেই এ কমিটি বেশ কিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বলেও জানা গেছে।

কমিটি প্রধান সৈয়দ মো. নূরুল বশির বলেন, ‘কিশোরদের নির্মমভাবে মারপিটের পরও সময়মতো যদি তাদের হাসপাতালে নেওয়া হতো তাহলে প্রাণহানির ঘটনা নাও ঘটতে পারতো। ঘটনার প্রায় ৬/৭ ঘণ্টা পর আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। আর নিহত তিন কিশোরকে হাসপাতালে নেওয়া হয় মৃত অবস্থায়।’

এই তদন্ত কমিটির অপর সদস্য হলেন সমাজ সেবা অধিদফতর ঢাকার উপপরিচালক এম এম মাহমুদুল্লাহ।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক রকিবুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল বিকেলে আদালত ৫ জনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করার পরপরই আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। আজও তা চলমান রয়েছে।’

এদিকে, একই ঘটনার তদন্তে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু লাইছকে প্রধান করে তিন সদস্যের যে তদন্ত কমিটি গঠন করে। সে কমিটিও তাদের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তমিজুল ইসলাম খান।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে তিন কিশোরকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ১৫ কিশোর। প্রথম দিকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বলেন যে, কেন্দ্রের শিশু কিশোরদের দুটি গ্রুপের মধ্যে মারামারিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। কিন্তু পরে আহত কিশোরদের বক্তব্য ও পুলিশের তদন্তে স্পষ্ট হতে থাকে যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দয় মারপিটের কারণেই তিন কিশোর নিহত ও ১৫ কিশোর আহত হয়।

পরে নিহত কিশোর রাব্বির পিতা রোকা মিয়া বাদি হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের অজ্ঞাত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসামি করা হয়।

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন