‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা মানুষের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধ অনুসরণ করলে পৃথিবী বৈষম্যমুক্ত হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা, প্রজ্ঞা ও দর্শন বিশ্ব নেতৃত্ব ও সাধারণ মানুষের কাছে এখনও স্মরণীয়, অনুকরণীয় ও চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।

সোমবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও আন্তর্জাতিকতাবাদ: আমাদের শিক্ষণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় সচিবালয়ের নিজ দফতর থেকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মধ্যে যে মূল্যবোধ ও দর্শন জাগ্রত করেছিলেন ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের, স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন জায়গায় পদায়ন করে সেই মূল্যবোধকে নষ্ট করে দিয়েছে।’

বঙ্গবন্ধুর শোষিতের পক্ষে এবং শোষণের বিপক্ষে সারাজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজীবন পৃথিবীর মানবেতর, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির পক্ষে শান্তির ও সমতার কথা বলেছেন। তিনি দূরদর্শী কুটনীতিক ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তিনি যেমন সমগ্র দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন, অপরদিকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনেক মিত্র সৃষ্টি করেছেন। এসব গুণ তাকে বিশ্বনেতায় পরিণত করেছে।’

দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অনেক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির পিতা দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করবেই।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করতে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি স্বাধীন পতাকা দিয়েছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করে ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে জাতির পিতার আদর্শ চেতনাকে নস্যাৎ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’

ভার্চুয়াল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় সারাবিশ্বের কাছ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি নেওয়া ছিল কূটনৈতিক বড় সফলতা। তার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা তাকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একজন অবিসংবাদিত বিশ্বনেতায় পরিণত করে।’ সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঢাকা ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তৃতা করেন।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম