বিজ্ঞাপন

করোনাকালে মোবাইল ব্যাংকিয়ে ঝোঁক, আরও ডিজিটাল হচ্ছে ব্যাংক খাত

August 19, 2020 | 1:42 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে দেশের অর্থ ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে। এই খাতে আরও বেশি ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। এই সময়টিতে দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী মোবাইল ব্যাংকিয়ে শিফট করেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় করোনাকালের বিভিন্ন দিক নিয়ে সারাবাংলা ডটনটের আয়োজন ‘নিউ নরমাল’ অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং খাতের ‍দু’জন শীর্ষ কর্মকর্তা যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

সারাবাংলার সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সৈকত ভৌমিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ ও ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

আলোচনায় মিশুক জানান, খুব অল্পে সময়ে টাকা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা এই করোনা পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণভাবে বোঝা গেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কোভিডের সময়ে বড় একটি জনগোষ্ঠী মোবাইল ব্যাংকিয়ে শিফট করেছে। একেবারে ইউটিলিটি বিল থেকে শুরু করে কফির বিল পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হচ্ছে। মোবাইল ছাড়া যেমন মানুষ এখন চলতে পারে না, তেমনি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ছাড়া এখন মানুষ চলতে পারছে না। মোবাইল ব্যাংকিং বিষয়টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা কোভিড শিখিয়ে দিয়েছে।

করোনাকালে নগদ-এর পরিসংখ্যান তুলে ধরে মিশুক বলেন, ‘মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত আমরা প্রায় ৬০ লাখ অ্যাকাউন্ট খুলেছি। প্রতিটি অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে খোলা হয়েছে।’

আলোচনায় প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাহেল আহমেদ বলেন, সনাতন যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা ছিল, সেটি থেকে বেরিয়ে এসে গত পাঁচ মাসে ব্যাপকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করতে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অপার সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোভিডের এই সময়ে বাংলাদেশে প্রথম ব্যাংক হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জামানতবিহীন ঋণ দিয়ে প্রাইম ব্যাংকই এগিয়ে এসেছে। উদাহরণ দিয়ে রাহেল বলেন, গত দেড় থেকে দুই মাসে ৩০ জনের মতো গ্রাহককে প্রায় ছয় কোটি টাকা ‍ঋণ দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। এসব গ্রাহকের আগে কখনো ব্যাংকিং লেনদেন ছিল না।

দেশের অর্থনীতি যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য প্রাইম ব্যাংক সার্বিকভাবে এগিয়ে এসেছে উল্লেখ করে রাহেল বলেন, ভবিষ্যতে কারোনা থাকুক বা না থাকুক, ব্যাংকিং খাত আরও বেশি ডিজিটাল মাধ্যমে এগিয়ে যাবে। বড় বড় ব্রাঞ্চ আর কেউ খুলবে না, বরং কাজ হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। আমরা আরও চিন্তা করব কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিংসহ ডিজিটাল চ্যানেলগুলো মিলিত হয়ে নতুন পথ বের করা যায়।

এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, কোভিডের কারণে দেশের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি ব্যাংকিং খাতে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার প্রণোদনার দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সহায়তা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মাঝখানে জটিলতা আছে। কারণ আমাদের আমার পুরনো লিগ্যাসি ইস্যু রয়ে গেছে। আমার কাঁধে যখন অনেক বোঝা, সেখানে নতুন করে কারও দিকে তাকানো একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন