বিজ্ঞাপন

‘বিতর্কিত লোক জনগণের প্রতিনিধিত্ব করুক— এটা কাম্য নয়’

August 19, 2020 | 2:34 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খারাপ বা বিতর্তিক কোনো ব্যক্তি জাতীয় সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করুক— এটি দেশবাসীর কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুই সংসদ সদস্যের আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জারি করা রুল এক অর্থে সঠিক হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, পৃথিবীর অনেক সংসদেই অনেক ভালো লোক আছেন, আবার দুয়েকজন বিতর্কিত লোকও পাস করে ফেলে বা সংসদে ঢুকে যায়। আদালত এ ব্যাপারে যে নির্দেশ দিয়েছেন, সরকার নিশ্চয় এ ব্যাপারে সরকারের যে জবাব সেইটা দেবে।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুই সংসদ সদস্যের সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না— তা জানতে চেয়ে আদালতের রুল জরির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে পৃথক পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে ফৌজদারি মামলায় শাস্তি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুন অর রশীদ এবং হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালত প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের সদস্যপদ বাতিল হবে না। আমাদের সংবিধানে দেখতে হবে, সেখানে সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিধান কী আছে। সে বিধান অনুসরণ না করে তো কারও সদস্যপদ বাতিল করা যাবে না। কিন্তু আদালতের এ আদেশ এক অর্থে অতি প্রয়োজনীয় ছিল। এটি অ্যাওয়ারনেস। আমাদের সমগ্র জনগণের ভেতরে মনজগতে একটি জাগরণ তৈরি হওয়া।

তিনি বলেন, সংসদ খুবই পবিত্র জায়গা, যেখানে সমস্ত দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব যারা করেন, তারা থাকেন। এখানকার প্রতিনিধি হিসেবে কোনো খারাপ লোক, কোনো বিতর্তিক লোক প্রতিনিধিত্ব করুক, এটা তো দেশবাসীর কাম্য হতে পারে না। সে অর্থে আদালত সঠিক রুল জারি করেছেন। এখন দেখতে হবে তাদের সদস্যপদ বাতিলের পন্থাটা কী।

পাপুলের বিষয়ে এক প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যারা দেশকে বিদেশে প্রতিনিধিত্ব করেন বা বিদেশে যান কোনো পরিচয়ে, যে পরিচয়ে যাক না কেন— বিদেশে গিয়ে তিনি যদি কোনো অন্যায় কাজে ধরা পড়েন বা তাকে গ্রেফতার করা হয় বা তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে দেশের সুনাম নষ্ট হয়। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে তার নির্বাচনি আসন কেন শূণ্য ঘোষণা করা হবে না এবং হারুনুর রশীদের সংসদ সদস্য পদে থাকা কেন অবৈধ ও তার নির্বাচনি আসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩-কে কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

দুই সংসদ সদস্যের পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পৃথক দুটি রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার এ রুল জারি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চে।

সংসদ সদস্য পাপুলের রিটে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান। আর সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদের রিটে আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দেওয়ান এম এ ওবাঈদ হোসেন।

ফাইল ছবি

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন