বিজ্ঞাপন

বার্সা না পারলেও পেরেছেন নেইমার

August 19, 2020 | 1:41 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

শেষবার ২০১৫ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছিল বার্সেলোনা এবং জুভেন্টাসকে হারিয়ে শিরোপাও জিতেছিল কাতালান ক্লাবটি। তবে এরপর কেটে যাচ্ছে পাঁচটি মৌসুম যার মধ্যে শিরোপা জয় তো পরের কথা ফাইনালের চৌকাঠই মাড়াতে পারেনি বার্সেলোনা। শেষবার যেবার বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল সেবার দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন নেইমার। আর সেই নেইমার ক্লাব ছাড়ার পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে আর বার্সেলোনা ২০১৯/২০ মৌসুমেও বিদায় নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।

বিজ্ঞাপন

২০১১ সাল থেকে ২০২০ এই ৯ বছরে দলে নতুন খেলোয়াড় বাবদ পিএসজি খরচ করেছে প্রায় ১ বিলিয়ন এবং ৩০৪ মিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রা মানে যা দাঁড়ায় এক লাখ ৩১ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। তারকা খেলোয়াড়দের পেছনে এভাবে টাকা খরচ করেও ইউরোপের সর্বোচ্চ সম্মানের শিরোপা জেতা হয়নি দলটির। তবে অবশেষে সেই স্বপ্নের কাছে পৌছাতে পারেছে পিএসজি। অবশেষে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল টপকে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পিএসজি। আর চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা আর নেইমারদের মধ্যে এখন মাত্র একটা ম্যাচের ব্যবধান। ব্যবধানটা ঘোচাতে পারলেই অবশেষে ইউরোপসেরার তকমা পাবে পিএসজি।

আর এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পিএসজিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নেইমার জুনিয়র। দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে নিয়ে গেছেন ফাইনাল অবদি।

বিজ্ঞাপন

শেষবার বার্সেলোনা যখন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছিল এবং জিতেছিল সেবার ইউসিএলের ১২টি ম্যাচ খেলে নেইমার গোল করেছিলেন ১০টি। যার মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে তিনটি, সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে তিনটি এবং ফাইনালে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে করেছিলেন একটি গোল।  পরের মৌসুমে বার্সা কোর্টারে হেরে বাদ পড়লেও নেইমার করেন তিন গোল এবং পাঁচটি অ্যাসিস্ট, ২০১৬/১৭ মৌসুমে পিএসজির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে রূপকথার সেই ম্যাচে দুই গোল দুই অ্যাসিস্ট করা নেইমার পুরো টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৪ গোল এবং ৯টি অ্যাসিস্ট।

এরপর বিশ্বরেকর্ড পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ২০১৭ সালে পিএসজিতে নাম লেখানোর পর ২০১৭/১৮ মৌসুমে নেইমার ৭ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল ৩ অ্যাসিস্ট। ২০১৮/১৯ মৌসুমে ইনজুরির কারণে শেষ ষোলয় খেলতে না পারলে পিএসজি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেরে বাদ পড়ে। সেই মৌসুমেও নেইমারের নামের পাশে আছে ৫ গোল এবং ২ অ্যাসিস্ট।

আর পিএসজির ইতিহাসের গড়ার মৌসুমে অর্থাৎ ২০১৯/২০ মৌসুমে সেমিফাইনাল পর্যন্ত করেছেন ৩টি গোল এবং ৪টি অ্যাসিস্ট। যার মধ্যে রাউন্ড অব ১৬’তে দুই গোল এবং কোয়ার্টার ও সেমিতে একটি করে অ্যাসিস্ট।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নেইমার ক্লাব ছাড়ার পরে তার শূন্য স্থান পূরণের জন্য বার্সেলোনা একে একে দলে ভিড়িয়েছে উসমান দেম্বেলে, ফিলিপ কুতিনহো এবং অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানকে। আর ২০১৭/১৮ মৌসুমে নতুন খেলোয়াড়দের পেছনে বার্সা খরচ ৩৮৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো, ২০১৮/১৯ মৌসুমে ১২৯ দশমিক ১০ মিলিয়ন ইউরো আর ২০১৯/২০ মৌসুমে ২৭৩ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ সব মিলিয়ে নেইমার বার্সেলোনা ছাড়ার পর তিন মৌসুমে বার্সেলোনা নতুন খেলোয়াড়দের পেছনে খরচ করেছে ৭৮৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ইউরো।

আর এমন অর্থ খরচ করার পরেও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের গণ্ডি পেরুতে পারেনি লিওনেল মেসি এবং তার দল। এর মধ্যে পিএসজিকে ২০১৯/২০ মৌসুমে নেইমার জুনিয়র নিয়ে গেলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। তবে এখনও সে ফাইনাল জয় করা বাকি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন