বিজ্ঞাপন

ক্যালিফোর্নিয়ায় লাগাতার বজ্রপাত, ঘর ছেড়েছেন লাখো মানুষ

August 20, 2020 | 12:26 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে লাগাতার হাজার হাজার বজ্রপাতে ৩৬৭ স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। খবর রয়টার্স।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৯ আগস্ট) বজ্রপাতের কারণে লাগা আগুনে বহু বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্টি এন্ড ফায়ার প্রটেকশনের (ক্যালফায়ার) এর হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য কর্তৃপক্ষের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে ১১ হাজার বজ্রপাতের ঘটনা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। যে ৩৬৭ স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে প্রায় দুই ডজন আগুনের ঘটনা বড় অগ্নিকাণ্ডে রূপ নিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মরুময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন। ওই বলয়ের প্রভাবেই ক্যালিফোর্নিয়াজুড়ে তীব্র দাবদাহ ও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি, এক দশকের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় এটিই সর্বাধিক বজ্রপাতের ঘটনা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় খরা কবলিত ওয়াইন কাউন্টিতে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী সাক্রামেন্টো থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে ফেয়ারফিল্ডে ‘ইন্টারস্টেট এইটি’ আগুনের কারণে মহাসড়ক বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আটকে পড়া গাড়িতে থাকা লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ক্যালফায়ারের একজন মুখপাত্র উয়িল পাওয়ার্স গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগুন ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পর আটকে পড়া চার বাসিন্দাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তারা বেঁচে আছেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, সোমবারের (১৭ আগস্ট) পর থেকে বজ্রপাতে চারটি কাউন্টির কয়েকটি এলাকায় উৎপন্ন হওয়া নয়টি আগুনের গুচ্ছ বাতাসের মাধ্যমে আরও ছড়িয়ে পড়ছে। আগুনের এই গুচ্ছকে সম্মিলিতভাবে ‘এলএনইউ কমপ্লেক্স’ নামে ডাকা হচ্ছে। এরই মধ্যে, ওই এলাকাগুলো থেকে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বহু মানুষ আগুনে আটকা পড়েছেন এমন খবর পাওয়া গেলেও, এখন পর্যন্ত কেউ নিখোঁজ থাকার ব্যাপারে কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে উদ্ধারকারী ক্যালফায়ার কর্তৃপক্ষ।

সারাবাংলা/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন