বিজ্ঞাপন

‘নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না’

August 25, 2020 | 6:07 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে তিনি মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবিার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে আরকান অঞ্চলের ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ প্রবেশ করে। এখন পর্যন্ত তাদের নিজ দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর জন্য দায়ী সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি, তাদের দুর্বলতা। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তারা কোনো কার্য্কর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে, এই রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং মিয়ানমারকে সমর্থন দিচ্ছে চীন ও ভারত। এই দুটি দেশের সঙ্গে কোনো রকমের রফা করার সামর্থ্য এই সরকারের নেই।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী কোনো বিশ্ব নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি, বিশ্ব সফর করেননি এবং জাতিসংঘে সেইভাবে গুরুত্বসহকারে বিষয়টাকে তুলে ধরতে পারেননি। যার কারণে এই রোহিঙ্গা সমস্যার বিশাল একটা বোঝা এদেশের মানুষকে বহন করতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপরে নির্যাতন চলছে, এই সরকার নির্যাতন চালাচ্ছে। আপনারা জানেন যে, এখানে যারা উপস্থিত আছেন এরা সবাই দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা। তারা যুদ্ধ করেছেন রণাঙ্গনে, তারা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেক্টার কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদেরকেও কারাগারে যেতে হয়েছে এবং নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। শুধুমাত্র একটি কারণে তারা একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা এদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে।’

‘ঠিক একইভাবে গতকাল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সরকারি দলের সংসদ সদস্যের গুন্ডারা মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে আহত করেছে। একমাত্র কারণে যে, ওই সংসদ সদস্যকে কেন সমর্থন করা হয়নি। আমরা দুর্ভাগ্যের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা সেটা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সন্মান নেই। এখন বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটা নতজানু ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রীকে জড়ানো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বার বার এদেশে সত্যিকার অর্থেই যারা মুক্তিযোদ্ধা, যারা দেশকে স্বাধীন করতে চেয়েছেন, যারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন, যারা নতজানু পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করেন না, তাদের ওপরই এই আঘাত বার বার এসেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে, কনসারটেডওয়েতে প্রচারণা, প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে জিয়ার চরিত্র নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের তার যে ভূমিকা সেটাকে খাটো করে দেখানোর জন্য। ১৫ আগস্টের বিচার হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বিচারে যে রায় হয়েছে এবং যারা আসামি তাদের ফাঁসিও কার্য্কর করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আবার নতুন করে জিয়াউর রহমানের নাম জাড়ানোর চেষ্টাই হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ২১ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে দেশনেত্রীকে জড়ানোর যে অপচেষ্টা সেটাও তারই একটা অংশ।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন