বিজ্ঞাপন

‘একুশে আগস্টের নেপথ্যের অনেক কুশীলব হাইব্রিড হয়ে দলে ঢুকে গেছে’

August 26, 2020 | 9:34 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার নেপথ্যের অনেক কুশীলব হাইব্রিড হয়ে দলে ঢুকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চট্টগ্রাম নগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যার বিচারের রায় কার্যকর এবং বিদেশে পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি নামে একটি সংগঠন নগরীর জামালখানে প্রেস ক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ মাসেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। এ মাসেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। এসব ঘটনার দৃশ্যমান অপরাধীদের আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। কিন্তু নেপথ্যের অনেক কুশীলব হাইব্রিড হয়ে দলের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি লড়াইয়ের ময়দানে আছি এবং থাকব।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলখানায় চার জাতীয় নেতা হত্যা মামলা এবং শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার মামলার অনেক আসামি বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে এনে বিচারিক আদালতের রায় কার্যকর করা হলে জাতি পাপমুক্ত হবে।’

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গ্রেনেড হামলা বাঙালি জাতিসত্তার উত্তরাধিকারদের বিনাশ করার একটি ধারাবাহিক অপচেষ্টার ব্যর্থ প্রয়াস। শেখ হাসিনা সেসময় বিএনপি-জামাত জোট সরকারের জঙ্গিবাদী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন বলেই তাকে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা টার্গেট করেছিল। সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হলেও এখনো জাতি শঙ্কামুক্ত নয়।’

বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ইন্দুনন্দন দত্ত বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রয়াত নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু উনার অবর্তমানে সেই ভিত্তি আলগা হয়ে গেছে। কোনো অজুহাতেই ‍মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির মধ্যে বিভক্তি তৈরি করা যাবে না। তাহলে স্বাধীনতার শত্রুরা সুযোগ নেবে। এই ভিত্তি আবারও সুদৃঢ় করতে হবে।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চুর সঞ্চালনায় মানবন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, গণআজাদী লীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম আশরাফী, বাংলাদেশ জাসদ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুল দাশ গুপ্ত, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান তারেক ও ইলিয়াছ উদ্দিন এবং ছাত্রলীগ নেতা নাজমুস সাকিব, ইয়াছিন আরাফাত কচি, খোরশেদ আলম মানিক, নাদিম উদ্দিন, আকতার হোসেন সৌরভ, মিজানুর রহমান মিজান, নুরুন্নবী সাহেদ, রাকিব হায়দার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন