বিজ্ঞাপন

চসিক-সিডিএ ‘এক হয়ে’ কাজ করবে, একমত সুজন-দোভাষ

September 1, 2020 | 6:06 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সমন্বয়ের মাধ্যমে নগরীতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় একমত হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সিডিএ ভবনে চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সঙ্গে বৈঠক করেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এ সময় সুজন দুই সংস্থা পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাগিদ দেন। জবাবে দোভাষ সমন্বয় থাকলে সংকট হবে না বলে মত দেন।

বৈঠকে চসিক প্রশাসক সুজন বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেখানে সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা থাকবে, পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। এতে শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা বাংলাদেশ উপকৃত হবে। নগরীকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক কল্যাণ ও সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাকে এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

‘এই মুহূর্তে চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। শুধুমাত্র সমন্বয়হীনতার কারণে এর কোনো স্থায়ী সমাধান এখনও হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমস্যা নিরসনে সিডিএ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী, ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনকে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি চসিকের সঙ্গে সমন্বয় করারও নির্দেশনা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে চসিকের সাথে সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। কারণ চসিকের যে জনবল ও অভিজ্ঞতা, তা অন্য কোনো সংস্থার নেই’— বলেন চসিক প্রশাসক।

বিজ্ঞাপন

সুজন সিডিএ চেয়ারম্যানকে জানান, চট্টগ্রামের উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৩টি সংস্থার প্রধানদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে। মাসে একটি করে সভা হবে। এর ফলে সংস্থাগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে।

এসময় সিডিএ চেয়ারম্যান প্রশাসককে জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা করে আসছেন। ২০২০ সালের শুরুতে তার এই চেষ্টা সফল হয় এবং কিছুটা সুফল মিলছে।

‘আমি আন্তরিকভাবে পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিই। আমরা যদি আন্তরিক হই, তাহলে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কোনো সংকট থাকবে না। নাগরিক দুর্ভোগ যাতে না হয়, সেজন্য আমাদের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার’— বলেন সিডিএ চেয়ারম্যান।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে সিডিএ’র সচিব মোহম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সিডিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এ এম হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসময় তিনি কর্ণফুলী নদীর ভরাট হয়ে যাওয়া অথবা তীরবর্তী অংশ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে তাগিদ দেন।

এরপর চট্টগ্রাম আদালত ভবন ও সংলগ্ন এলাকার সড়কবাতি, শৌচাগার, নালা-নর্দমা সংস্কার, পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আইনজীবী নেতারা চসিক প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাবেক সভাপতি মুজিবুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মো. ছাবেদুর রহমান, সহ-সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন