বিজ্ঞাপন

নিয়ম মেনে ব্যবসা করেছি, মানি লন্ডারিং হয়নি: ইভ্যালির এমডি

September 3, 2020 | 9:22 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের প্রচলিত কোনো আইন ভেঙে ব্যবসা পরিচালনা করেনি ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে কোনো মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনাও ঘটেনি। সাময়িক সময়ের জন্যে ক্রেতা ও বিক্রেতারা অসুবিধায় পড়লেও তার সুষ্ঠু সমাধান হবে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে ব্যবসার মডেলেও পরিবর্তন আনা হবে। আর দ্রুতই ইভ্যালির ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেওয়া হবে বলেও প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠানটির।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যম জুমে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এসব বলেন।

ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘দেশে ব্যবসা সংক্রান্ত যতোগুলো আইন আছে, আমরা আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবসা করছি, কোনো ধরনের আইন ভঙ্গ করে আমরা ব্যবসা করছি না। তারপরও বলব যদি কোনো আইন ভঙ্গ হয়ে থাকে আমরা তা সংশোধন করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যা করছি তা গ্রাহকের জন্য। গ্রাহকের ভালোর জন্য করেছি। ২১ লাখ পণ্য গ্রাহকরা বাজারমূল্য থেকে কিছুটা হলেও কম মূল্যে পেয়েছেন। অ্যামাজন বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকেও তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হয়েছে। এই ধাক্কাগুলো ব্যবসাকে পিছিয়ে দেয় না, বরং এগিয়ে নিয়ে গেছে। তারপরও আমরা একটি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট করে রেখছি। প্রয়োজনে ব্যবসায়িক মডেল চেঞ্জ করা হবে। তারপরেও আমরা এখনো আশাবাদী।’

বিজ্ঞাপন

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একজন ব্যাংকার হিসেবে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ যাতে না আসে তা লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করেছি। এখানে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। ব্যাংক একাউন্টের লেনদেন বন্ধ রাখায় সাময়িক হয়ত একটি ধাক্কা এসেছে। যখন প্রমাণিত হবে এখানে কোন মানি লন্ডারিংয় ঘটেনি তখন আমাদের শক্তি আরও বেড়ে যাবে। এট লিস্ট তারা যেন ব্যাংক একাউন্ট ওপেন রেখে মানি লন্ডারিংয়ের ইস্যুটা চেক করে আমি সেই দাবি রাখি।’

মানি লন্ডারিংয় ইস্যুতে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেরা কোনো পণ্য আমদানি করি না। আমি অন্য কোনো দেশের নাগরিকও নই। আমার আত্মীয় স্বজনও তেমনভাবে বিদেশে থাকে না। আমি বলব, আমাদের ব্যাংক একাউন্ট যাচাই করলেই বিষয়টি সহজেই প্রমাণিত হয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগ আসেনি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন থেকে আমরা সিগন্যাল পাব সেদিন থেকেই পুরোনো অর্ডারের পণ্যগুলো সরবরাহ করতে শুরু করব। আমরা ধারণা করছি, খুব শীঘ্রই আমাদের একাউন্ট ওপেন করে দেওয়া হবে, সেটা ৩০ দিনের আগেই। তাই আমরা ৩০ দিনের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। অনেকেই বলছেন হাইকোর্টে রিট করতে, কিন্তু আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মানে আমরা অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। যাদের অর্ডার আছে, আমরা তা নিয়ে কাজ করছি, যদি দেরি হয় তারপরেও ক্রেতা ও বিক্রেতার বিষয়টির ইতিবাচক সমাধান হবে।’

ইভ্যালি টাকা নিয়ে দেশ ছাড়তে পারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির এমডি বলেন, ‘পালিয়ে যেতে পারি দেখে বিজনেস চেঞ্জ করতে হবে বা মডেলে পরিবর্তন আনতে হবে আমি এমনটি মনে করি না। ব্যাংকের মালিক হয়েও তো অনেকে পালিয়ে যায়।’

সঠিক সময়ে পণ্য পৌঁছে দিতে না পারার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অ্যামাজন বা বিভিন্ন পেইজেও দেখবেন পণ্য পৌছে দেওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে বলেই অ্যামাজনে কমপ্লেইন সেন্টার আছে। আর আমাদের ৭০ জনের একটি টিম আছে। তারা অভিযোগগুলো সমাধানের চেষ্টা করে। হয়ত রিফান্ড নিয়ে সমস্যা আছে। আমরা সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’

ইভ্যালির কল সেন্টারকে আরও আধুনিক করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ইভ্যালি কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, ‘আমি ইতিবাচক মানুষ। কেউ পিছু লেগেছে বলে আমি মনে করি না। আমার লক্ষ্য বিজনেজটিকে রান রাখতে হবে। ষড়যন্ত্রের বিষয়টি আমার মাথায় আসেনি। আমার উদ্ভাবনের জায়গা থেকে হয়তো অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে, মডেলিংয়ে পরিবর্তন না আনলে হয়তো ক্ষুদ্র আকারে ব্যবসা করতাম, থাকলে হয়তো অনেকে খুশি হতো। কিন্তু কেউ ষড়যন্ত্র করছে বলে আমি মনে করি না। আর আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে কোনো ভুল ছিল না। গ্রাহক ধরতে গিয়ে এগ্রেসিভ মার্কেটিংয়ের বাইরে যেতে পারিনি, কিন্তু কোনো ভুল করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রাহক এখন যথেষ্ট সন্তুষ্ট। আমাদের পণ্যের গড় ডেলিভারি টাইম ৭ থেকে ১০ দিন। বাইকে ২৫ দিন। কিছু ক্ষেত্রে হয়ত ৯০ দিন গেছে। কিন্তু আমরা গ্রাহকের টাকা আমাদের কাছে হোল্ড করি না।’

রাসেল বলেন, ‘আমাদের গ্রাহক যথেষ্ট স্মার্ট। কখন কী কারণে কি ঘটছে তারা তা জানে। এর ফলে গ্রাহকের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হবে না। ইভ্যালি যদি তার স্বচ্ছতা নিয়ে ফিরে আসে গ্রাহক আরও বেশি আস্থা পাবে।’

প্রতিষ্ঠানটিতে শীঘ্রই বড় কোনো বিদেশি বিনিয়োগ আসবে বলেও প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠানটির এমডির।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন