বিজ্ঞাপন

‘ফুটপাত ও সড়কে দোকান বা নির্মাণসামগ্রী পেলেই নিলামে তোলা হবে’

September 4, 2020 | 7:28 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ফুটপাত ও সড়কে নির্মাণসামগ্রী বা অবৈধ দোকানসহ কোনো কিছু পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এজন্য আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সংস্থাটির ১০টি জোনে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বেদখল হওয়া ফুটপাত ও রাস্তা উচ্ছেদে নামার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন মেয়র। অভিযানে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ কাজে বাধা দিলে সঙ্গে সঙ্গে জেল-জরিমানা করার নির্দেশও দেন তিনি। ফুটপাত ও রাস্তাকে শুধুমাত্র নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য ও দখলমুক্ত করতেই এমন কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আতিকুল ইসলাম।

সভায় মেয়র আতিক বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ফুটপাত ও সড়কে স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনো দোকান অথবা অবকাঠামো পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা ভাঙতে অভিযানে পে-লোডার ও বুলডোজারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঙ্গে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দখলের সঙ্গে জড়িত কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বাধা দিলেও শাস্তি দেওয়া হবে ও মালামাল জব্দ করার পরপরই প্রকাশ্যে নিলামে তোলা হবে। আর ওই নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ করপোরেশনের ফান্ডে জমা হবে। নগরবাসী স্বাচ্ছন্দে রাস্তায় ও ফুটপাত দিয়ে যেন চলাচল করতে পারেন তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। ফুটপাত দখলধারীর হতে পারে না। ফুটপাত ও রাস্তা হবে শুধুমাত্র জনগণের।’

বিজ্ঞাপন

আসন্ন শীতে মশার উপদ্রবমুক্ত নগর গড়ার নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, ‘সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন যেসব জলাশয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে না, মশা থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে তাদের অবশ্যই কচুরিপানা পরিষ্কারে বাধ্য করতে হবে। মশা জন্ম নেওয়ার আগেই সব কিউলেক্স মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে।’

গত বছরের মতো কিউলেক্স মশার কামড়ে এবছর যেন কোনো নাগরিক কষ্ট না পান সেদিক বিশেষ মনযোগ দিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মেয়র। এডিস মশার বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও সেইসঙ্গে কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ দেন মেয়র।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযানে রাজধানীর যত্রতত্র বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকা বিশাল আকৃতির ও ছোট-বড় স্থায়ী-অস্থায়ী সব বেসরকারি বা অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে। এজন্য সব অবৈধ বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপন প্রচারকারীদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো অবৈধ বিজ্ঞাপন বোর্ড স্থাপন করে নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট করতে কাউকেই সুযোগ দেওয়া হবে না। যে যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন ডিএনসিসির আওতায় এসে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ূয়া, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএইচ/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন