বিজ্ঞাপন

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ককে ঢুকতে বাধা, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মুন

September 6, 2020 | 3:06 pm

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মনোনয়নপত্র নেয়ার প্রথম দিনে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ হোসেন মুনকে। এতে যারপরানই ক্ষুব্ধ ও অপমানিত বোধ করেছেন এই সাবেক অধিনায়ক ও সংগঠক। জানিয়েছেন সালাউদ্দিন-সালাম প্যানেলে থাকবেন না তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পৃথক প্যানেলে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক খ্যাতনামা এই ফুটবলার।

কথা ছিল এবার সালাউদ্দিন প্যানেল থেকে সদস্য পদে নির্বাচন করবেন আরিফ হোসেন মুন। কিন্তু শনিবার তাকে দেখা গেল জেলা ও বিভাগীয় অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনী সভায়।

দুই ডেলিগেটসহ মনোনয়নপত্র নিয়ে আলোচনা করতেই ফেডারেশনে গেলে গেট থেকেই ফিরিয়ে দেয়া হয় এই সংগঠককে। যে কারণে প্যানেল বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সফল সংগঠক মুন।

বিজ্ঞাপন

পরে অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনী সভায় বিষয়টি উঠতেই হঠাৎ কান্নায় ভেঙে পড়েন আরিফ হোসেন মুন। সালাউদ্দিন-সালাম প্যানেলের বিপক্ষে নির্বাচনে দাঁড়াতে বৈঠকে বসেছিলেন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ৫০ জনের মতো ভোটিং ডেলিগেট। একজন সহকর্মীর সঙ্গে বাফুফের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ এই সংগঠক। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এক জোট হয়ে নির্বাচনের।

বিভিন্ন সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া মুন পরে সাংবাদিকদের জানালেন, ‘আমি বাফুফেতে এটাই জানাতে গিয়েছিলাম যে সালাউদ্দিন প্যানেল থেকে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে গত ৮ বছর যাবত যে সিস্টেমের বিরুদ্ধে আমি বলে এসেছি সেই সিস্টেমের কাছে গতকাল পরাজিত হতে হয়েছে।

ঢাকার ক্লাবগুলো নিয়ে নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করা হবে এই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সঙ্গে করোনার কারণে নির্বাচন পেছানোর লিখিত আবেদনও করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

আশিকুর রহমান মিকু, ‘উভয় পক্ষের যৌথ মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে প্যানেলের রূপরেখা কেমন হবে। কারা কারা আসবে। মিটিংয়ের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা আপনাদের জানাতে পারবো।

এদিকে জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও বাদল রায়ের নির্বাচন পেছানোর চিঠি আমলে নেয়নি নির্বাচন কমিশন। যথাসময়েই নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বাফুফের প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেলিগেট করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে কংগ্রেসে প্রবেশে অনুমতি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই, তাতে অন্যান্য কর্মকর্তারা আক্রান্ত হবার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। যেহেতু তিনি করোনার কারণে কংগ্রেসে অংশ নিতে পারছেন না সেহেতু তিনি স্বাভাবিকভাবে ভোট দিতে সক্ষম হবেন না। ডেলিগেটদের সামনে গোপন ব্যালটে ভোট প্রদান করতে হয় বিধায় করণা আক্রান্ত ডেলিগেটের অন্যভাবে ভোট নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন