পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩ জনের সাক্ষ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ তিন জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সাক্ষীরা এ সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষীরা হলেন- মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামান, সুধাংশু সরকার, মো. সাইরুল ইসলাম। সাক্ষী সুধাংশু সরকার ও মো. সাইরুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলেও আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়নি। এজন্য আদালত আগামী ৮ সেপ্টেম্বর অবশিষ্ট সাক্ষ্যের দিন ধার্য করেছেন।

এ নিয়ে মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। আর তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়েই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

গত ২৩ আগস্ট একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। এরপর গত ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই মো. আরিফুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দু’জন সঙ্গীসহ পাপিয়া এবং তার স্বামীকে আটক করে র‌্যাব-১। ওই সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দু’টি ডেবিট কার্ড জব্দ করে।

পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দু’টি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

সারাবাংলা/এআই/এমও