September 10, 2020 | 5:41 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে কেবল তরুণ পেসার মোস্তাফিজুর রহমানই ডাক পেয়েছিলেন। একটি নয়, দু-দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি (মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স) দলে ভেড়াতে চেয়েছিল দেশ সেরা এই পেসারকে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজ সমাগত বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির ডাকে সাড়া দেয়নি। তার মানে আইপিএলের এবারের আসরে বাংলাদেশি কোন ক্রিকেটার থাকছেন না। তবে কোন ক্রিকেটার না গেলেও ক্রিকেটের জমকালো এই আসরটিতে থ্রোয়ার হিসেবে জায়গা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করা আর কে সেন্টুর।
সাইড আর্ম এই থ্রোয়ার ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া আইপিএলের ১৩তম আসরে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সঙ্গে কাজ করবেন।
থ্রোয়ার হিসেবে দলটির সঙ্গে কাজ করতে যাওয়ার কথা ছিল বুলবুলেরও। কিন্তু আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অনাপত্তি পত্র ( এনওসি) দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়াম চত্বরে সংবাদ মাধ্যমকে এতথ্য দিয়েছেন বুলবুল।
‘সেন্টু ভাই এখন দুবাইয়ে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের থ্রোয়ার হিসেবে কাজ করবে। আমারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ তাই বিসিবি অনুমতি দেয়নি।’
বুলবুলের ভাষ্যমতে, আইপিএলের এক মৌসুমে কাজ করতে পারলেও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ তার ছিল। সম্মানি হিসেবেই পেতেন এক লাখ ২০ হাজার রূপি। আর দৈনিক ভাতাবাবদ পেতেন সাড়ে ৫ হাজার রুপি। এছাড়াও আগামী তিন বছরের জন্য সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুযোগতো ছিলই।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরনের সুপারিশে সানরাইজার্সে সুযোগ হয়েছে সেন্টুর। শ্রীনি অবশ্য বাংলাদেশ দলের পাশাপাশি ও সানরাইজার্সের হয়েও কাজ করছেন।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএইচএস