বিজ্ঞাপন

আজারেঙ্কা নয় ইউএস ওপেনের রানি ওসাকা

September 13, 2020 | 11:29 am

স্পোর্ট ডেস্ক

ফাইনালে এসে থেমে গেলেন দুর্দান্ত এগুতে থাকা ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। বেলারুশ তারকাকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতেছেন নাওমি ওসাকা। এ নিয়ে তৃতীয়বার গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের স্বাদ পেলেন জাপানিজ সুন্দরী। ইউএস ওপেন জিতলেন দ্বিতীয়বার।

বিজ্ঞাপন

২২ বছর বয়সী তরুণী এবার যে দ্বিতীয় ইউএস ওপেনের স্বাদ পেতে যাচ্ছে সেটা ভাবেননি অনেকেই। ফাইনালে ফেভারিট তত্ত্বে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন আজারেঙ্কা। টানা ১০ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে সেরেনা উইলিয়ামসকে পাত্তাই দেননি আজারেঙ্কা। সাত বছর পর গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠা বেলারুশ তারকার হাতেই দেখা হচ্ছিল শিরোপাটা। ফাইনালের শুরুতেও দুর্দান্ত খেলেছেন আজারেঙ্কা।

প্রথম সেটে পাত্তাই দেননি ওসাকাকে। ১-৬ ব্যবধানে প্রথম সেট জিতে নেন বেলারুশ তারকা। দ্বিতীয় সেটেও একটা সময় ৩-০ গেমে এগিয়ে ছিলেন। তারপরই যে ওসাকা ঘুরে দাঁড়াবেন সেটা কে-ই বা ভেবেছিলেন!

ম্যাচ শেষে ওসাকা বলছিলেন, ‘আমি যখন অতিরিক্ত জেতার ব্যাপারে চিন্তা করি, তখনই সমস্যা হয়। আমি আর আমি থাকি না। জেতার জন্য শান্ত থাকা খুব জরুরি। কিছুক্ষণ খেলার পর মনে হচ্ছিল, জেতা হবে না। পরে ভাবলাম, আমি একটা ফাইনাল খেলতে এসেছি। অনেক মানুষ ফাইনাল খেলতে চায়। এমন অবস্থায় এক ঘণ্টায় ৬-৩, ৬-০ সেটে হারতে পারি না আমি।’

বিজ্ঞাপন

খাদের কিনারা থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত আজারেঙ্কাকে ১-৬, ৬-৩, ৬-৩ গেমে হারিয়ে স্বপ্নের শিরোপা জিতেছেন জাপানি তরুণী। পিছিয়ে পড়ার পর খেলায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছিলেন ওসাকা। আজারেঙ্কাকে জবাব দিচ্ছিলেন জোড়ালো শটে। আড়াআড়ি না মেরে সোজা শট খেলে যাচ্ছিলেন জাপানি তারকা। অনেকক্ষণ এটা চালিয়ে গেলেন বলেই হয়তো ২১ বছর বয়সী ওসাকার সঙ্গে শক্তির লড়াইয়ে কুলিয়ে উঠতে পারলেন না ৩১ বছর বয়সী আজারেঙ্কা। আজারেঙ্কার গতি আস্তে আস্তে কমতে থাকে, এই সুযোগেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন ওসাকা।

ওসাকার এই বিজয় হয়তো কৃষ্ণাঙ্গদের ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনেরও একটা বিজয়! একভাবে বিচার করলে বলতে হবে, পুরো টুর্নামেন্টে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার মানুষদের মুখপাত্র হয়ে খেলেছেন ওসাকা। পুলিশের অত্যাচারে বা বিভিন্ন সময়ে যারা বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন তাদের একেক জনের নাম সংবলিত মাস্ক পরে খেলেছেন একেকটি ম্যাচ। ফাইনালেও সেটা করেছেন জাপানি তরুণী।

২০১৪ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ক্লিভল্যান্ডের ১২ বছর বয়সী এক শিশু। তার নাম সংবলিত মাস্ক পড়ে ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন। তারপরও ওসাকা কী আর হারতে পারেন! ওসাকার হার মানে তো অত্যাচারের শিকার হওয়া সেই সব মানুষগুলোরও হার!

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন