বিজ্ঞাপন

গুজবের বলি রেনু হত্যা মামলায় হাইকোর্টে ৫ আসামির জামিন

September 15, 2020 | 10:57 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একবছর আগে গুজবের শিকার হয়ে ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন পাঁচ আসামি। এর মধ্যে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে গতকাল সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আসামি মোহাম্মদ রাজু জামিন নিয়েছেন। এ সংবাদ আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জানাজানি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি বিভিন্ন সময় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন চার্জশিটভুক্ত এই পাঁচ আসামি। তারা হলেন— মোহাম্মদ রাজু, রিয়া বেগম ময়না, বাচ্চু মিয়া, মোহাম্মদ শাহীন ও মুরাদ মিয়া। আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপক্ষ এই পাঁচ জনের মধ্যে একজনের জামিন ঠেকাতে এরই মধ্যে আপিল দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো.বশির উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, গতকাল মোহাম্মদ রাজু নামে এক আসামি জামিন পেয়েছেন। তবে এ জামিন বাতিল চেয়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এরই মধ্যে আপিল দায়ের করেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগে হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চ থেকে আরও চার আসামি বিভিন্ন সময় জামিন নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রেনুকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৫ জনকে আসামি করে গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামি হলেন— মো. ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা (২০), রিয়া বেগম ওরফে ময়না বেগম (২৯), মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মণ্ডল (৫০), মোহাম্মদ কামাল হোসেন (৪০), মোহাম্মদ শাহিন (৩২), মো. বাচ্চু মিয়া (৩৬), মো. বাপ্পী ওরফে শহিদুল ইসলাম (২১), মো. মুরাদ মিয়া (২৬), মো. সোহেল রানা (৩০), আসাদুল ইসলাম (২২), মো. বিল্লাল মোল্লা (৩২), মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন (২৩), মো. মহিউদ্দিন (১৮), মো. জাফর হোসেন পাটোয়ারী (১৭), ওয়াসিম ওরফে মো. অসীম আহম্মদ (১৪)। এর মধ্যে কেবল আসামি মো. মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাসলিমা বেগম রেনু। তার দুই সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের গেটে কয়েকজন নারী তাসলিমার নাম-পরিচয় জানতে চান। পরে লোকজন তাসলিমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাইরে কয়েকশ লোক একত্র হয়ে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। স্কুলের ফাঁকা জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় তাসলিমার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা চারশ থেকে পাঁচশ মানুষকে আসামি করে মামলা করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন