বিজ্ঞাপন

প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ডিএনসিসি’র প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

September 16, 2020 | 9:11 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সারাবাংলা ডটনেটে গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘২৪ কোটি টাকার প্রকল্পে পরামর্শকের জন্য প্রস্তাব ১৬ কোটি’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি বলছে, প্রকাশিত সংবাদটি বিভ্রান্তিকর ও তাদের জন্য মানহানিকর।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলায় পাঠানো ডিএনসিসি’র ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা নর্থ নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রজেক্ট (ডিএনএনইউপি)’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। ওই সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক নিয়োজিত করে মূল প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করা হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সমীক্ষা প্রকল্পটি একটি বিদেশি সাহায্যভুক্ত প্রকল্প। ওই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৩ কোটি এক লাখ টাকা বিশ্বব্যাংক বহন করবে। ওই সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক হিসেবে পাঁচটি ফার্ম ও ১৫ জন ব্যক্তিভিত্তিক (জাতীয় ১০ জন ও আন্তর্জাতিক পাঁচ জন) নিয়োগ বাবদ ১৬ কোটি ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় একটি ‘কমপ্রিহেনসিভ স্টাডি’ সম্পন্ন করা হবে। উত্তর সিটি করপোরেশনে বিশ্বব্যাংকের নির্ধারিত ফরম্যাট অনুযায়ী প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জনবল অপ্রতুল থাকায় বিশ্বব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী ডিপিপি তৈরিতে প্রকল্প অফিসকে সহায়তা করার জন্য আলোচ্য পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব প্রকল্প দলিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

চিঠিতে সমীক্ষা প্রকল্পের বিভিন্ন অংশের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য বিশেষজ্ঞের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটিতে নাগরিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেও বিশেষজ্ঞ নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরামর্শকদের ডিএনসিসি’র অধীন বিভিন্ন এলাকা নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে বলে মাইক্রোবাস ও জিপ ভাড়ার সংস্থান রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ডিএনসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ আয়োজন করতেও অর্থের সংস্থান রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ডিএনসিসি থেকে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে ডিএনসিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিয়োজিত ব্যক্তি পরামর্শকদের প্রয়োজনীয় ওয়ার্কস্পেস ডিএনসিসি’র বিদ্যমান অফিসগুলোতে নেই। ফলে প্রকল্পের আওতায় একটি আলাদা অফিস স্পেস ভাড়া নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই অফিস স্পেসে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কম্পিউটার ও আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র দেওয়ার জন্য প্রকল্প দলিলে কম্পিউটার ও আনুষাঙ্গিক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত সমীক্ষা প্রকল্প প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে পরামর্শক নিয়োজিত করে ‘ঢাকা নর্থ নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রজেক্ট (ডিএনএনইউপি)’ শীর্ষক মূল প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন করা হবে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের কোনো বক্তব্য নেই। প্রস্তাবিত সমীক্ষা প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার কার্যপত্রে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, কেবল সেই তথ্যই পরিবেশন করেছে সারাবাংলা। পরামর্শক নিয়োগ, ডিএনসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রকল্প থেকে আলাদা বেতন, যানবাহন ভাড়া করা, অফিস সরঞ্জাম কেনার বিষয়গুলোতে খরচ কমানোর বিষয়টি বিবেচনার কথা পিইসি সভার কার্যপত্রেই উল্লেখ আছে। এ সংক্রান্ত নথিপত্র সারাবাংলার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এটি যে সমীক্ষা প্রকল্প এবং এর আওতায় ‘কম্প্রিহেনসিভ স্টাডি’ করা হবে, সে বিষয়টিও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া ডিএনসিসি’র প্রতিবাদ জানানো চিঠিতে সমীক্ষা প্রকল্পের ব্যয় ও এর আওতায় পরামর্শক খাতের ব্যয় নিয়ে যে তথ্য উল্লেখ করা আছে, প্রতিবেদনেও একই তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে। ফলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্যগুলো নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন