বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা অন্তরালের ভিন রাজনীতি

December 10, 2017 | 5:38 pm

এথনিক ক্লিনজিং। গত বেশ কয়েকমাস ধরে আরকান প্রদেশে রোহিঙ্গাদের সাথে যা হচ্ছে, তাকে সোজা কথায় এটাই বলা চলে। গুলি করে, আগুনে পুড়িয়ে, ধর্ষণ করে একটি জনগোষ্ঠীকে তাড়িয়ে দেয়া, তাদের জায়গাজমি সম্পদ বেদখল করা- এসব ঘটে চলেছে বিশ্ববিবেকের সামনে। আন্তর্জাতিক পরাশক্তি গুলো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে, কেউ কেউ নামেমাত্র নিন্দা জানাচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কেউ কিচ্ছুটি করতে পারছে না। প্রশ্ন হচ্ছে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ব ঠিকঠাক পদক্ষেপ নেয় না কেন?

বিজ্ঞাপন

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্রথমে জেনে আসতে হবে মায়ানমারের ভৌগোলিক অবস্থান এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে। মায়ানমারে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদে বিশ্বে ৮ম ( ১১.৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট)। তেলের রিজার্ভ এ বিশ্বে ৭৯তম। লারজ স্কেল কোল মাইনিং কান্ট্রি, মজুদ প্রায় ২৭০ মিলিয়ন টন। মাটির নিচে আছে নিকেল, কপার, টাংস্টেন এর মত ধাতু। পৃথিবীতে যত রুবি পাওয়া যায় তার ৯০% আসে মায়ানমার থেকে। এমনি এমনি তো একে সূবর্ণভূমি নাম দেয়া হয় নাই। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে মায়ানমার গ্যাসের রিজার্ভে ৮ম কিন্তু উত্তোলনে ৩৯তম। মানে এখানে এখন ও অনেক কিছু পাওয়ার সুযোগ আছে।

মায়ানমার এবং চায়না পরস্পরকে সহোদর হিসাবে সম্বোধন করে যা থেকে তাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা অনুমান করা যায়। আর মায়ানমারের দিক থেকে ঐতিহাসিকভাবেই চীন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী কারণ চীনের সাথে তার ১৩৪৮ মাইলের এক বিশাল সীমান্ত রযেছে। মিয়ানমারে ‘৬২ থেকে মিলিটারি দেশ চালায়। ১৯৮৮ সালে মায়ানমারের সেনাবাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার এক বছর পরেই এক অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বার্মিজ কমিউনিস্ট পার্টিও খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। এই সুযোগে সামরিক সরকার সীমান্তবস্থিত কমিউনিস্ট গোষ্ঠীসমূহের সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছুতে সমর্থ্য হয়। থান শুয়ে ১৯৮৯ সালের অক্টোবরে চীন ভ্রমণ করেন এবং বর্তমান সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেন। এর পর থেকেই মূলত মায়ানমার পরাশক্তিসমূহের নিকট থেকে অস্ত্র আমদানি না করে নিরপেক্ষ থাকার নীতি ত্যাগ করে এবং চীনের অস্ত্র দিয়ে তার সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ করার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করে। একই সাথে চীনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সহায়তার আশ্বাসও আদায় করতে সক্ষম হয়। আর চীন (প্রতিবেশী বখাটে) এই সুযোগে হাত বাড়ায় মায়ানমারের প্রাকৃতিক সম্পদের দিকে। চীনের সাথে মায়ানমারের ১৩৪৮ মাইলের সীমান্তরেখা আছে। তাই চীনের আরেকটা টার্গেট হচ্ছে মায়ানমারের মধ্যদিয়ে সরাসরি বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা, যার ফলে তার বাণিজ্যের পরিবহন খরচ ও সময় অনেক বেচে যাবে, এবং মালাক্কা প্রণালীর সংঘাত এড়িয়ে চলা যাবে। তাছাড়া বঙ্গোপসাগর হয়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও সহজেই প্রবেশ করা যাবে। চীন মায়ানমারের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক, মায়ানমারের পণ্যের সবচেয়ে বড় মার্কেট। ‘৯০ পরবর্তী জান্তা শাসিত মায়ানমারকে বাঁচিয়ে রেখেছিল চীন, এখন যেমন রাখছে নর্থ কোরিয়াকে। সোজা ভাষায়, মায়ানমার ছিল চীনের ক্লায়েন্ট স্টেট। আশা করি বোঝা যাচ্ছে, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নিরপত্তা পরিষদে চীন কেন বারবার ভেটো দেয়।

বিশ্বব্যাপী চীনের বাণিজ্যিক উত্থান আমেরিকার একাধিপত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই মায়ানমার এর মত সংকটপূর্ণ এলাকায় আমেরিকা হাত না দিয়ে থাকতে পারলো না। মায়ানমার যখন সেনা শাসন থেকে সেনা সমর্থিত গণতন্ত্রের দিকে হাঁটা শুরু করলো, আমেরিকা তাদের পছন্দের নেত্রী সু কি কে সামনে রেখে মায়ানামারে বাণিজ্য সম্প্রসারণের পথ খুঁজতে লাগলো। বারাক ওবামা মায়ানমার সফরে গেলেন, বাণিজ্য অবরোধ উঠে গেল। সেনা শাসন থেকে সিভিল সরকারে রূপান্তরের এই সময়টায় আমেরিকা তার সহায়তার হাত প্রসারিত করলো। বিনিময়ে মায়ানামারের প্রাকৃতিক সম্পদে বিনিয়োগ শুরু করলো মার্কিন কোম্পানিগুলো। গত তিন বছরে মায়ানামারে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে মার্কিন কোম্পানিগুলো যা কিনা ২০২০ এর মধ্যে দ্বিগুণ হওয়ার আশা করা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি আরাকান রাজ্যের আরো একটি বড় ব্যাপার হচ্ছে এর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান। আরাকান এর সাথে মায়ানমারের মুল ভূখণ্ড, চীন এবং বাংলাদেশের যোগাযোগ স্থাপন খুবই সহজ। পাশাপাশি এখানে অবস্থান জোরদার করতে পারলে বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় সামরিক এবং বাণিজ্যিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। তাই আমেরিকা অচিরেই সু চি সরকারের উপর থেকে আশীর্বাদের হাত সরিয়ে নেবে- এটা ভাবা ভুল হবে। এর পাশাপাশি এই অঞ্চলে আমেরিকার সবচেয়ে বড় মিত্রজোট এখন ইন্ডিয়া (পাকিস্তান না)। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদী তার মায়ানমার সফরে রোহিঙ্গা প্রশ্নে সু চির প্রতিই সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এর মূলত দুটি কারণ, প্রথমটি বাণিজ্যিক। ২০১০ সাল থেকে এই আরকানেই ভারতীয় অর্থায়নে একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এই সমুদ্রবন্দর চালু হলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি বাণিজ্যিক সুফলতা লাভ করবে। ভারত ঠিক একই পলিসি নিয়ে ঢুকে গেছে আফগানিস্তানে।

বিজ্ঞাপন

এইখানে আরো একটা ফ্যাক্টর হচ্ছে, সঙঘ পরিবার যারা কিনা বিজেপির আইডিওলজিক্যাল থিঙ্কট্যাঙ্ক। আরাকানকে যখন মায়ানমারের সাথে জুড়ে দেয়ার প্ল্যান হচ্ছিলো ব্রিটিশ সূর্যের পতনকালে, স্থানীয় মুজাহিদিন গ্রুপগুলো রাখাইন প্রদেশের কিয়দাংশকে মায়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন করে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেয়ার জন্য ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ করেছিলো। ১৯৫০ দশকের পরে তারা তাদের জনসমর্থন হারায় এবং সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করে। এরপরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ এসেছে, বর্তমানে আছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। সমস্যা হল, এদের পক্ষ থেকে যুদ্ধটাকে জাতীয়তাবাদী রূপে না রেখে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধর্মীয় উগ্রবাদের দিকে। যেমন এদের বিরুদ্ধে একটা গুরুতর অভিযোগ আছে মিডল ইস্টের ফান্ডিং এর উপর বেস করে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ছড়ানোর। আইএস বা আল কায়েদার সাথে আলোচনা যে কারণে ফলপ্রসূ হয় না, ঠিক একই সমস্যা এই জায়গাতেও। আরাকান প্রদেশে মুক্তি আন্দোলন যারা করছে, সেই আরসার বিরুদ্ধে স্পষ্টতই পাকিস্তানি আইএসআই থেকে মদদলাভের অভিযোগ আছে। সেই বাস্তবতায় মোদিশাসিত ভারত অন্তত সু চি প্রশ্নে অবিচল থাকবে এবং এই অরাজকতাকে একটা জঙ্গিবাদী নেক্সাসের ইনকিউবেটর হিসেবে দেখবে তা বলাই বাহুল্য।

এবার নজর দেয়া যাক মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ব্যবস্থার দিকে। মায়ানমারে এক অদ্ভুত ডেমোক্রেসি চলে। এখানে প্রায় ৫০ বছর পর বেসামরিক সরকার গঠিত হয়েছে সু চির নেতৃত্বে। কিন্তু ঘাপলা হল দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে ৪০%আসন মিলিটারিদের জন্য সংরক্ষিত যাদের নিয়োগ দেন সেনাপ্রধান। অং সান সু চি যে পরিবর্তনের আশা দেখিয়েছিলেন তা মূলত হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। উদাহরণ দেই, তাহলেই বোঝা যাবে। মিয়ানমারের সরকারে তিনি নিজের জন্য তৈরি করেছেন এক ক্ষমতাধর পদ। প্রেসিডেন্টেরও উর্ধ্বে এই ‘স্টেট কাউন্সেলর’ বা ‘রাষ্ট্রীয় পরামর্শকের’ পদটি। বাস্তবে তিনি আসলে সবার ধরা ছোঁয়ার উপরে। তাঁকে জবাবদিহি করার কেউ নেই। সু চি কখনোই মিয়ানমারের গণমাধ্যমে কোন সাক্ষাৎকার দেন না। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কথা বলেন বেছে বেছে। পার্লামেন্টে এমপি-রা তাঁকে নিয়মিত প্রশ্ন করার কোন সুযোগই পান না। ১৪ মাস আগে নির্বাচনের সময়ের সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনের পর আর কোন সত্যিকারের সংবাদ সম্মেলনে তাকে দেখা যায়নি। আর এর পাশাপাশি সরকারি প্রপাগান্ডা তো রয়েছেই। এই প্রপাগান্ডা মিয়ানমারে সামরিক শাসন আর সেন্সরশীপের কালো দিনগুলোকেই মনে করিয়ে দেয়।

১৯৭৫ সালের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৮ সালে জিয়ার সামরিক সরকার মুসলিম বিশ্বে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সামরিক সরকারের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবে বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়। বার্মা থেকে পালিয়ে আসা দুই থেকে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা তখন বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার ও উখিয়ায় উদ্বাস্তু হিসেবে জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশন সহযোগিতা করতে শুরু করে। এরপর ১৯৯১-৯২ সালে খালেদা জিয়ার শাসনামলে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের আধা-সামরিক বাহিনী নাসাকা এবং অন্য সম্প্রদায়ের সম্মিলিত আক্রমণের পর নতুন করে আবার প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকে।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীকালে মাত্র এক থেকে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী মায়ানমারে ফেরত যায়। কিন্তু বাংলাদেশে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বল্পসংখ্যক জাতিসংঘের নির্ধারিত শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করলেও বেশিরভাগই কক্সবাজার, টেকনাফ, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করতে থাকে। অবাক করার বিষয় হলো, বাংলাদেশে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে বলে জাতিসংঘ স্বীকার করে। অথচ কক্সবাজারের স্থানীয়দের মতে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখের বেশি। বাস্তবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বর্তমানে ৭ লাখেরও বেশি। ফলে ১৯৭৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুটি কেবল বার্মা বা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু ছিল। ১৯৭৮ সাল থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি বাংলাদেশের জন্য গোদের উপর বিষফোড়ার মতো একটি নতুন সমস্যা হয়েছে। যদিও মায়ানমার প্রত্যাবাসনে আংশিক রাজি হয়েছে, কিন্তু তা কতটুকু কার্যকর হবে এ ব্যাপারে সন্দেহ রয়েই যায়। কারণ ১৯৮২ সালে সে দেশের সরকার যে নাগরিকত্ব আইন করেছে, তাতে তিন ধরনের নাগরিকের কথা বলা হয়েছে। এর কোনোটির মধ্যেই রোহিঙ্গারা নেই। তাদের সাংবিধানিক ও আর্থসামাজিক অধিকার নেই। তারা একার্থে বন্দী। কারণ মিয়ানমারের অন্য স্থানে তারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যেতে পারে না। এক সময় যে আরাকান মুসলিমপ্রধান ছিল, এখন সেখানে রাখাইন বসতি বাড়িয়ে তাদের সংখ্যালঘুতে পরিণত করা হয়েছে।

তাহলে বাংলাদেশ কি করবে? হ্যাঁ, মানবিক কারণে আশ্রয় দিতে হয়েছে, এবারও হচ্ছে। পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বাংলাদেশ বহন করে চলেছে গত কয়েক দশক ধরে। একটু আগে জাতিসংঘ বলেছে দেড়লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পথে। বাংলাদেশের ঐ সামর্থ্য নাই এদের পুনর্বাসিত করার। তাই পাহাড় কেটে বস্তি হচ্ছে, বন উজাড় করে ক্যাম্প হচ্ছে। দারিদ্র্য ও অপরাধ পাশাপাশি হাঁটে। বাংলাদেশে ইয়াবার ব্যবসার একেবারে মাথা থেকে শুরু করে পুরো ড্রাগ কারটেলে অনন্ত প্রভাবশালী এই রোহিঙ্গা সম্প্রদায়। পাহাড়ে ভাঁজে ভাঁজে চলছে জঙ্গি আস্তানায় প্রশিক্ষণ। রামু টাইপের ইনসিডেন্ট ফ্রিকোয়েন্টলি ঘটবে। কক্সবাজার তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম স্ট্র্যাটেজিক্যালি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইলেকশনের আগে এ অঞ্চলে যত ক্রাইম, যত নাশকতা এবং দেশব্যাপী জঙ্গিবাদে যত ছক কাঁটা হবে তাতে ফুট সোলজার হিসেবে ব্যবহৃত হবে এই রোহিঙ্গারা। একটা সহজ হিসাব, ঢাকার বুকের মধ্যে বসবাস করা বিহারী ক্যাম্পগুলা স্বাধীনতার এতবছর পরেও অপরাধের আস্তানা, কিচ্ছু করা যায় নাই। তাহলে টেকনাফের ঐ কোণায় থাকা রোহিঙ্গাদের আসলে কতটা মারাত্মকভাবে ব্যবহার করা যাবে, আশা করি বুঝতে পারছেন। সামনে ধূসর সময়।

সারাবাংলা/এমএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন