বিজ্ঞাপন

উপাচার্যের দুর্নীতির প্রথম দফা শুনানি করলো ইউজিসি

September 18, 2020 | 10:49 am

রাবি করেসপন্ডেন্ট

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির  অভিযোগে প্রথম দফা শুনানি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মঞ্জুরী কমিশন মিলনায়তনে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

শুনানিতে ইউজিসি’র সদস্য ও উপাচার্যের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মু. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে অভিযোগকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগর, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জিন্নাত আরা ও সহকারী অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

তবে উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া বা প্রশাসনের কেউ শুনানিতে উপস্থিত হননি।

বিজ্ঞাপন

শুনানিতে উপস্থিত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী বলেন, ইউজিসি গণশুনানিতে উভয়পক্ষকে ডেকেছিল। প্রশাসনের কেউ উপস্থিত হয়নি। আমরা অভিযোগের দলিলপত্রসহ বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছি। অভিযোগের প্রমাণসহ ৩০০ পৃষ্ঠার যে অভিযোগপত্র আমরা জমা দিয়েছিলাম, এর বাইরেও কিছু দলিল জমা দিয়েছি।

এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২য় দফা শুনানি হবে।

অন্যদিকে, রাবি উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান প্রথমে পত্র মারফতে উন্মুক্ত শুনানিতে অংশ নেয়ার সম্মতি দিলেও গত ৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে ইউজিসির ডাকা গণশুনানিকে বেআইনি, আদালত অবমাননাকর ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্বের শামিল বলে উল্লেখ করেন। ১৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফার শুনানিতে অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য এম আবদুস সোবহান।

বিজ্ঞাপন

এর আগে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) দাখিল করেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ।

অভিযোগপত্রে মোট ১৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়। এতে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং উপাচার্য কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে ধোঁকা দেওয়া ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে উপাচার্যের মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দেওয়া, এডহক ও মাস্টাররোলে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, উপাচার্যের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি নিয়োগ ইত্যাদি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি অভিযোগসমূহ তদন্তে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনে এ উন্মুক্ত শুনানির আয়োজন করেছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিসি

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন