বিজ্ঞাপন

‘এয়ার বাবল চুক্তিতে অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা থাকতে হবে’

September 19, 2020 | 7:12 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তি হলে এর আওতায় অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা থাকতে হবে বলে মত দিয়েছেন এভিয়েশন খাতের সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এয়ারবাবল চুক্তিতে ভিসা সহজ না হলে শুধু ভারতীয় নাগরিকরাই বাংলাদেশে আসবেন, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারবেন খুব কম মানুষ। এ কারণে এয়ার বাবল চুক্তিতে অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থাও থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সারাবাংলা ডনেট আয়োজিত ‘সারাবাংলা ফোকাস’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সারাবাংলা ডটনেটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এম এ কে জিলানীর সঞ্চালনায় ‘সারাবাংলা ফোকাসে’র এ পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল ‘ঢাকা-নয়া দিল্লি এয়ার বাবল’।

ভার্চুয়াল এই আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ‍যুক্ত ছিলেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম ইকবাল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির শর্তে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবেন তাদের প্রত্যেককে আবার নতুন করে ভারতীয় ভিসা নিতে হবে। আগের ভারতীয় ভিসার মেয়াদ থাকলেও সেটা আর কার্যকর হবে না। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য বাংলাদেশের সিভিল অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে জানান বক্তারা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা রাখার বিষয়টি চুক্তিতে রাখতে বলেন তারা।

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, এয়ার বাবল হচ্ছে শর্তসাপেক্ষে দ্বিপাক্ষিক আকাশ ব্যবস্থা, যেখানে দুই দেশের বিমান নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। আর এটার জন্য ভারত আমাদের কাছে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এখানে দু’দেশের বিমানগুলো কিভাবে কাজ করবে এবং কিভাবে যাত্রী পরিবহন করবে— এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভারতের কাছে আমরা আমাদের একটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। আমাদের দেশের আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু করব। আমাদের স্বার্থটা এখানে বড় বিষয়।

ভারতের কিছু শর্তের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারতে কারা যেতে পারবে আর প্রবেশ করতে পারবে— সেটা নিয়ন্ত্রণ করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এয়ার বাবল চুক্তিতে বাংলাদেশ থেকে রোগী, ব্যবসায়ী ও কূটনৈতিকরা যেতে পারবেন। এর বাইরে ট্যুরিস্ট বা শিক্ষার্থী তথা যারা বর্তমানে ভারতে পড়ালেখা করছেন, তারা যেতে পারবে না। বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ১৬ লাখ মানুষ ভারতে যাওয়া-আসা করেন। আর ভারত থেকে ৫-৬ লাখ মানুষ বাংলাদেশে আসেন। তাই আমরা এটাকে কেয়ারফুলি ডিল করছি। সবকিছু বিবেচনা না করে এয়ার বাবল চালু হচ্ছে না।’

সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মা‍শা‍র্ল এম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় ভিসার একটি খরচ আছে, আর দুর্ভোগ তো আছেই। তাই এয়ার বাবল চুক্তি হলে দুই দেশের মধ্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসার চুক্তি হতে পারে। আর এই চুক্তিতে আমাদের দেখতে হবে— বাংলাদেশের লাভ কতটা হবে, আর ছাড় কতটুকু দিতে হবে। আমাদের অর্থনৈতিক সবকিছু এখন ডাউন। তাই ভালো করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। বিমানের ভাড়াটাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে। তা না হলে দেশের বিমানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

বিজ্ঞাপন

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হাসান বলেন, ‘বর্তমানে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এয়ার বাবলের মাধ্যমে চালু হলে সেটা অবশ্যই ভালো। অন-অ্যারাইভাল ভিসা হলে খুব ভালো। তবে আমি মোটামুটি নিশ্চিত, ভারত এটাতে রাজি হবে না। তাদের শঙ্কা হচ্ছে এই চুক্তির মাধ্যমে কারা আসবে, আর যাবে। ট্যুরিস্ট কম গেলে তাতে দেশের ক্ষতি হবে না। তবে আমি চাই এটা চালু হোক, সীমিত আকারে হলেও চালু হোক।’

সারাবাংলা/এসজে/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন