বিজ্ঞাপন

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ: মজনুর বিরুদ্ধে মামলার বাদির সাক্ষ্য

September 20, 2020 | 2:26 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনার দায়ের করা মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে মামলার বাদির সাক্ষ্যের মধ্যদিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারেরর আদালতে মামলার বাদী ও ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা জবানবন্দি দেন। এরপর আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম তাকে জেরা করেন। এসময় তার জেরা শেষে আদালত আগামীকাল সোমবার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

মামলাটিতে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

এর আগে, গত ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত ১৬ মার্চ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার্জশিট জমা দেন।

বিজ্ঞাপন

মামলাটি গত ৬ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন দুপুরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা করেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে। বাস থেকে নেমে ওই শিক্ষার্থী ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় সুযোগবুঝে তাকে জাপটে ধরেন এক ধর্ষক। এরপর ফুটপাতের পাশের ঝোঁপে নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করা হয়।

আসামি ভিকটিমের কাছ থেকে একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন, একটি হাত ঘড়ি এবং নগদ দুই হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার রাতেই ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মজনু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি এই মজনু বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন