বিজ্ঞাপন

‘প্রাইভেট ব্যাংকগুলো যেন ভালোভাবে চলে, বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন’

September 20, 2020 | 3:53 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, ব্যাংকগুলো যেন ভালভাবে চলে, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। কিছু কিছু ব্যাংক আছে অতি দুর্বল হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে অনেক সময় মার্চ করাতে হয়। কোনটা ঠিকমতো চলছে, আর কোনটা চালাতে পারছে না, সেটা বিবেচনা করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তা চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এই আর্থিক সহায়তার চেক গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সকলেই খুব আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন। আমি কাউকে বাদ দিতে পারবো না। সেই জন্যই হয়ত আমরা এটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। সামনে শীত, পরিস্থিতি আরেকটু হয়ত খারাপের দিকে যেতে পারে। তাই আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি থাকতে হবে। করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য আপনারা চালাই যেতে পারেন, তার জন্য যা যা করণীয় সে ব্যবস্থা কিন্তু আমরা নিয়েছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছি। এই প্রণোদনা দেওয়ার ফলে আমি মনে আমাদের দেশের ব্যবসাগুলি সচল থাকা সম্ভব হচ্ছে।’

এবারে করোনাভাইরাসে দেখা গেছে, আমাদের সকলেই খুব আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ ব্যাংক এসোসিয়েশন সবসময় যেকোনো কিছু একটা হলেই, কোনো দুযোগ-দুর্বিপাক বা যা কিছু হোক; এমনকি আপনারা নিজেরাই এগিয়ে এসেছেন। সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।’

বিজ্ঞাপন

‘ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে হবে আর আসলে প্রাইভেটে ব্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্তটা আমরাই নিয়েছিলাম। আমরাই দিয়েছি সব থেকে বেশি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত যাতে মানুষ ব্যাংকিং ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়, তার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। কৃষকদের দশ টাকার একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা নিয়েছি। অর্থ্যাৎ মানুষকে অভ্যস্ত করা, ব্যাংকের মাধ্যমে যেন তাদের আর্থিক লেনদেন করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় কথা যে, আমরা যত বেশি প্রাইভেট ব্যাংক ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান হয়েছে, অনেক মানুষের চাকরি হয়েছে এটাই হচ্ছে সবথেকে বড় কথা। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়েছে। সেখানে ব্যাংকগুলি যাতে ভালভাবে চলে আমরা সেটাই চাই। আর সেইক্ষেত্রে আমরা ব্যাংকের আইন বা আমরা যা কিছু করি, আপনারা যখন যে দাবি-টাবি আনেন, যেটা যুক্তিসঙ্গত সেগুলো আমরা সব সময় বিবেচনা করে দেখি। আজও আমাদের নজরুল সাহেব যে কথাগুলি বলেছেন, আমি এটা দেখব। এখানে যদি সমস্যা থাকে অবশ্যই সমস্যা যাতে না হয় আমরা সেটা বিবেচনা করবো’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের কাছেও আমাদের অনুরোধ থাকবে, ব্যাংকগুলো যেন ভালভাবে চলে, সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। কিছু কিছু ব্যাংক আছে অতি দুর্বল হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে অনেক সময় মার্চ করাতে হয়। এটা বিবেচনা করতে দেখতে হবে। কোনটা ঠিকমতো চলছে, আর কোনটা চালাতে পারছে না, সেটা বিবেচনা করেই করা হবে। অবিবেচনা করে করা হবে না এটুকু ভরসা রাখবেন।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের এই অনুদান সাধারণ মানুষের কল্যাণে লাগবে। আপনারা কষ্ট করে আমার অফিসে এসেছেন, সেজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনারা সবাই ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন, সাবধানে থাকেন। আর দোয়া করেন যেন আমাদের দেশটা করোনাভাইরাসের এই মহামারি থেকে যেন মুক্তি পায়, সারাবিশ্বই যেন মুক্তি পায়। কারণ মানুষের সত্যি খুব কষ্ট হচ্ছে এই করোনাভাইরাসের কারণে। তবু বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য সচল রাখার জন্য আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা প্রণোদনা প্যাকজে ঘোষণা করেছি এবং তার জন্য যা যা দরকার আমরা সেটা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করি, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

এদিন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান মিলে ১৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন