বিজ্ঞাপন

প্রয়োজনের বেশি পেঁয়াজ কিনবেন না: বাণিজ্যমন্ত্রী

September 20, 2020 | 9:38 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, অনেক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট হবে না। আমরা অস্থির না হয়ে শুধু প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ কিনলে কোনো সমস্যা হবে না। পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই প্রয়োজনের বেশি কিনবেন না।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্যমন্ত্রী রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ই-কমার্সের আয়োজনে জুম প্লাটফর্মে টিসিবি’র ‘ঘরে বসে স্বস্থির পেঁয়াজ’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু ঢাকা ও চট্রগ্রামে এ পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ই-কমার্সের আওতায় দেশের সকল স্থানে টিসিবি সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় করবে। এ জন্য ক্রেতা-বিক্রেতা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও জানান মন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বড় ধরনের আমদানি ও সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যারা ট্রাক সেল থেকে কিনতে পাচ্ছেন না, তাদের জন্য টিসিবি ই-কমার্সের সহযোগিতায় সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজ বাসায় পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। অন্যান্য পণ্যের মতো এখন সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজও ক্রেতারা বাসায় বসে কিনতে পারবেন।’

পেঁয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে দেশী ও আমদানিকৃত পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। ভারত ইতোমধ্যে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে, এগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু হয়েছে। আশা করা যায় আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন পেয়াজ রফতানির অনুমতি দেবে ভারত। মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়ে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের ই-কমার্সে পেঁয়াজ পেতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রাথমিকভাবে দেশের ৫টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৬ টাকা মূল্যে ৩ কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হবে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও পেঁয়াজের পরিমান বাড়ানো হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন টিসিবি’র চেয়ারমম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) হাফিজুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক এবং ই-কমার্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ই-কমার্সের প্রেসিডেন্ট শমি কায়সার, চালডাল কর্মসূচির পরিচালক ইসরাত জাহান নাবিলা এবং নাদিয়া বিনতে আমীন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন