বিজ্ঞাপন

তিন ফর্মেটেই নিয়মিত হতে চান মোস্তাফিজ

September 21, 2020 | 6:16 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

কথিত আছে লাল বলের চেয়ে সাদা বলের ক্রিকেটেই ঢেড় স্বাচ্ছন্দ মোস্তাফিজুর রহমান। এর স্বপক্ষে অবশ্য প্রমানও আছে। ২০১৫ সালে লাল সবুজের জার্সি গায়ে নেমে যেখানে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ১৩টি সেখানে ওয়ানডে খেলেছেন ৫৮টি। আর টি-টোয়েন্টি ৪১টি। এতে ‘মোস্তাফিজ শুধুই রঙিন পোশাকের ক্রিকেটার’ এমন একটা তকমা সেটে  গিয়েছিল গায়ে। তবে আশার কথা হল সাদা বল কেন্দ্রীকতা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন দেশ সেরা এই পেসার। শুধু ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিই নয়, টেস্টে ক্রিকেটেও এখন নিয়মিত হতে চাাইছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে মোস্তাফিজকে সবশেষ দেখা গিয়েছিল দেড় বছর আগে। ২০১৯ সালের মার্চে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে নেমেছিলেন বাঁহাতি এই বোলিং বিস্ময়। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে এরপর আর নামা হয়নি। কাঁধের অস্ত্রোপচারে বোলিং ছন্দ হারিয়ে ফেলায় এমনকি ঘরের মাঠেও অনিয়মিত হয়ে উঠেছেন। উদাহারণ খুঁজতে খুব বেশিদূর যেতে হবে না। এই তো গেলবছরের সেপ্টেম্বরের কথা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদে গড়ানো আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ও চলতি বছরের শুরুতে মিরপুর শের ই বাংলায় অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ছিলেন দলের বাইরে।

বিষয়টি হয়ত তার ক্রিকেটীয় চিত্তে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে। সেকারণেই করোনা বিরতি থেকে ফিরে লাল বলের অনুশীলনে আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছেন। তাতে কাজও হয়েছে বিস্তর লাল বলে সেই মোস্তাফিজ ও এই মোস্তাফিজে এখন দুস্তর ব্যবধান। কেননা এই মোস্তাফিজ এখন আরো ক্ষুরধার। সঙ্গত কারণেই তিনি লাল বলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) অনুশীলন শেষে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

মোস্তাফিজ বলেন,‘আমি তো চাই সব ফরম্যাটে খেলতে। এখন চেষ্টা করছি ফিটনেস বলেন, বোলিং, স্কিল বলেন কোন কাজগুলো করলে আমি সব ফরম্যাটে নিয়মই হতে পারি সেগুলো করার।’

মোস্তাফিজের আত্নবিশ্বাসী হওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ হল তার পেস ভান্ডারে নতুন অস্ত্রের সংযোজন। আগে যেখানে শুধুই কাটার, স্লোয়ার ছিল এখন সেখানে যোগ ইনসুইং। মার্চে দেশব্যাপী করোনা সংক্রমন ছড়ানোর আগে পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন নতুন একটি গ্রিপ দেখিয়েছিলেন। এবং সেটা তিনি বেশ মনোযোগ দিয়েই অনুসরণ করেছেন। নেট অনুশীলনে এখন অহরহই ভেতরে বল ঢোকাতে পারছেন দ্য ফিজ। আর ঠিক সেকারণেই নির্বাচকেরা আসন্ন লঙ্কা সিরিজে তার কাঁধে ভরসা রাখছেন।

‘করোনার আগে গিবসন আমাকে কিছু গ্রিপ দেখিয়ে দিয়েছিল যে কী করলে বল ভেতরে ঢুকবে। ওটা নিয়ে কাজ করছিলাম, এখনো ভালো যাচ্ছে। আরও কাজ করতে হবে, ভালোভাবে কাজ করতে পারলে ভেতরে ঢোকানোটা তাড়াতাড়ি আয়ত্ব করতে পারবো।’

বিজ্ঞাপন

করোনাকালের অনুশীলনে অবশ্য মোস্তাফিজুর রহমান কিছুটা পিছিয়ে। সিংহভাগ সতীর্থরা যেখানে জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুতে শুরু করেছেন সেখানে তিনি শুরুটা করেছেন আগস্টের মাঝামাঝিতে। প্রথমে ব্যক্তিগত অনুশীলনেই ঘাম ঝঁড়িয়েছেন। যেখানে শুরুটা হয়েছিল শর্ট রানআপে। এখন করছেন দলীয় অনুশীলন। ক্রমাগতই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। জানালেন, সবকিছু বেশ ভালই যাচ্ছে।

‘আমি ঢাকা আসছি প্রায় এক মাস পাঁচ দিন হল। প্রথমে শর্ট রান আপে, দুই তিন স্টেপে বোলিং করেছি, বাড়িতেও করেছি। এখানে আসার পর আবার প্রথম থেকে শুরু করলাম। শুরুতে রানিং, জিম এসব ছিল পরে একজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করবে দুইজন বোলার বল করবে এভাবে শুরু হয়। এখন ওভার অল সবকিছু ভালোই যাচ্ছে।’

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএইচএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন