বিজ্ঞাপন

সৌদি এয়ারলাইন্স আসছে, অনুমতি পাচ্ছে না বিমান

September 22, 2020 | 8:58 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স সৌদিয়ার ফ্লাইট বাংলাদেশে আসছে আগে থেকেই। তবে বাংলাদেশ বিমানের কোনো ফ্লাইট সৌদি আরবে অবতরণের অনুমতি এখনো পায়নি। এর ফলে করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে সৌদি আরব থেকে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরেছিলেন, তারা আর ফিরতে পারছেন না। এদের বেশিরভাগেরই ভিসার মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হওয়ায় তাদের জন্য সৌদি আরবে ফেরাটা জরুরি। ফিরতে না পেরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

বিজ্ঞাপন

নিজ দেশেই আটকা পড়া প্রবাসীরা ভিসা ও টিকিট জটিলতার কারণে গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ও আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) কারওয়ানবাজার সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের অফিসে বিক্ষোভ করেছেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ বিমানের অফিসও ঘেরাও করেছেন। তবে বাংলাদেশ বিমান বলছে, সৌদি এভিয়েশন থেকে তাদের ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হলেও ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি এখনো দেওয়া হয়নি। ফলে তারা ফ্লাইটের শিডিউল ঘোষণা করতে পারছে না। ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি পেলে সে অনুযায়ী ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে প্রবাসীদের সাধ্যমতো সেবা দেবে বিমান।

আরও পড়ুন- অবরোধ তুলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাত্রা সৌদি প্রবাসীদের

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইট এসভি৮০৪ আজ রাতেও ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। ফিরে যাওয়ার সময় যাত্রী নিয়ে যাবে তারা। কিন্তু এদিন রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যও বলছে, বাংলাদেশ বিমান সৌদি আরবে ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি পায়নি। ফলে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফিরতি ফ্লাইটে খুব বেশি প্রবাসী সৌদি আরব যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার রাতে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আজও তাদের আমরা বার্তা পাঠিয়েছি। আমরা বলেছি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিতে। তাদের যদি অতিরিক্ত কোনো ফ্লাইট লাগে, আমরা সেটার অনুমোদনে দেবো। আমরা চাই, তারা প্রতিদিনই ফ্লাইট পরিচালনা করুক। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোগান্তি দূর হোক। এরই মধ্যে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর একটি বাড়তি ফ্লাইটের জন্য সৌদি এয়ারলাইন্স আবেদন করেছে বলেও জানান তিনি।

মফিদুর রহমান আরও বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্সকে সৌদি সিভিল এভিয়েশন ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিমানকে তারা ল্যান্ডিংয়ের অনুমোদন দিচ্ছে না। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আজও কথা বলেছি। আমাদের সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি এ সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন। আশা করছি, বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট চালু করতে পারলে ভোগান্তি কমে যাবে।

এদিকে, মঙ্গলবার প্রবাসীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে যোগাযোগ করলে বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, ‘প্রবাসীদের বিষয়টি আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আমরা কাজ করছি। আশা করি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন