September 22, 2020 | 9:42 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার। ফলে পেঁয়াজ আমদানিকারকদের এখন থেকে এই পাঁচ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে না। ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা এ সুবিধা পাবেন।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে পেঁয়াজ আমদানির শুল্ক প্রত্যাহারের এই প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে জনস্বার্থে পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করা হলো। এ প্রজ্ঞাপন ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানির ওপর আরোপিত পাঁচ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানালে বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম একদিনের ব্যবধানে ১০০ টাকা হয়ে যায়। গত বছরের মতো পেঁয়াজের দাম আবার লাগাম ছাড়াবে কি না, সে আশঙ্কা জেঁকে বসে। এর মধ্যে অবশ্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, দেশে পেঁয়াজের সংকট নেই। পেঁয়াজের দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে কি না, তা দেখতে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। তাতে করে নতুন করে আর পেঁয়াজের দাম বাড়েনি।
পেঁয়াজের বাজার নিয়ে ফের যেন অস্থিরতা তৈরি না হয়, সে কারণেই পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। অর্থমন্ত্রী ১৬ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, বিষয়টি বিবেচনা করবেন। পরে ২০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেটিরই প্রজ্ঞাপন জারি হলো আজ।
এর আগে, দেশীয় পেঁয়াজ চাষীদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ দেওয়া ও আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানিতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর